১০:০০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪

এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের রেম্পের মুখে শতবর্ষী অসংখ্য গাছ

এস. এ টিভি
  • আপডেট সময় : ১০:২৭:১৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ এপ্রিল ২০২৪
  • / ১৭৬০ বার পড়া হয়েছে
এস. এ টিভি সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

চট্টগ্রামের টাইগারপাসে নান্দনিক ডবল ডেকার সড়ক ও শতবর্ষী অসংখ্য গাছ ধ্বংস করে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নতুন একটি রেম্প নামানোর পরিকল্পনা করেছে সিডিএ। ইতিমধ্যে পরিবেশ অধিদফতর থেকে অর্ধশতাধিক গাছ কাটার অনাপত্তিপত্রও সংগ্রহ করেছে প্রতিষ্ঠানটি। এনিয়ে তোলপাড় চলছে চট্টগ্রামে। নতুন এই প্রকল্পের বিরোধীতা করে মাঠে নেমেছে পরিবেশ কর্মী ও নগরবিদরা। আর সিডিএ বলছে যে পরিমান গাছ কাটা হবে তার চেয়ে বেশি গাছ লাগিয়ে দেয়া হবে প্রকল্প বাস্তবায়নের পর।

চট্টগ্রামের প্রথম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে এটি। প্রকল্পের শুরুতে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে এসে নামার কথা ছিলো চৌমুহনি এলাকায়। এরপর বলা হলো ফ্লইওভার নামবে টাইগারপাসে। চার দফায় পরিকল্পনা বদলে এখন লালখান বাজারের আক্তারুজ্জামান ফ্লাইওভারের সঙ্গে সংযুক্ত করার কাজ চলছে।দফায় দফায় ড্রইং ডিজাইন পরিবর্তনের এই ডামাডোলে এবার টাইগারপাস থেকে নিউমার্কেট মুখি রাস্তায়ও একটি রেম্প নামানোর পরিকল্পনা করেছে সিডিএ।

কিন্তু এই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে হলে কাটতে হবে ছোটবড় শতাধিক গাছ। এছাড়া বন্দর নগরীর ঐতিহ্যের সঙ্গে জড়িত ডবল ডেকার সড়ক খ্যাত পাহাড়ের পাদদেশ ঘেষে গড়ে ওঠা নান্দনিক সড়কটিরও সৌন্দর্য নষ্ট হবে বলে মনে করছেন পরিবেশ কর্মীরা।

এই প্যারা মার্কিং করা গাছের ছবি দিয়ে শুরু হবে*
ইতোমধ্যে কুড়ালের কোপের অপেক্ষায় থাকা গাছগুলোকে চিহ্নিত করেছে সিডিএ। বনবিভাগ থেকে অনাপত্তিপত্র নিয়ে তা দেয়া হয়েছে জমির মালিক রেলওয়েকেও।

নগরবিধরা বলছেন, গাছ ও পাহাড় ধ্বংস না করেও অনেকগুলো বিকল্প ছিলো রেম্প নামানোর। সেগুলো পাশ কাটিয়ে প্রকৃতি ধ্বংসের মতো সহজ পথকে বেছে নিয়েছে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ -সিডিএ

সিডিএ বলছে, শতবর্ষি গাছগুলোর ডালপালা ছাটা হলেও কোন গাছের গোড়া থেকে কাটা হবে না। ছোট ছোট কটি গাছ কাটা হবে ।

সিডিএর এই প্রস্তাবকে হাস্যকর উল্লেখ করে গাছ ও পরিবেশ রক্ষায় মাঠে নেমেছে পরিবশবাদী বিভিন্ন সংগঠন। টাইগারপাস এলকায় মানববন্ধনসহ নানান কর্মসুচী পালন করছে তারা ।

 

 

এস. এ টিভি সমন্ধে

SATV (South Asian Television) is a privately owned ‘infotainment’ television channel in Bangladesh. It is the first ever station in Bangladesh using both HD and 3G Technology. The channel is owned by SA Group, one of the largest transportation and real estate groups of the country. SATV is the first channel to bring ‘Idol’ franchise in Bangladesh through Bangladeshi Idol.

যোগাযোগ

বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬,
গুলশান-১, ঢাকা-১২১২,
বাংলাদেশ।
ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০
ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪
ই-মেইল: info@satv.tv
ওয়েবসাইট: www.satv.tv

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০১৩-২০২৩। বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ। ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০, ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের রেম্পের মুখে শতবর্ষী অসংখ্য গাছ

আপডেট সময় : ১০:২৭:১৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ এপ্রিল ২০২৪

চট্টগ্রামের টাইগারপাসে নান্দনিক ডবল ডেকার সড়ক ও শতবর্ষী অসংখ্য গাছ ধ্বংস করে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নতুন একটি রেম্প নামানোর পরিকল্পনা করেছে সিডিএ। ইতিমধ্যে পরিবেশ অধিদফতর থেকে অর্ধশতাধিক গাছ কাটার অনাপত্তিপত্রও সংগ্রহ করেছে প্রতিষ্ঠানটি। এনিয়ে তোলপাড় চলছে চট্টগ্রামে। নতুন এই প্রকল্পের বিরোধীতা করে মাঠে নেমেছে পরিবেশ কর্মী ও নগরবিদরা। আর সিডিএ বলছে যে পরিমান গাছ কাটা হবে তার চেয়ে বেশি গাছ লাগিয়ে দেয়া হবে প্রকল্প বাস্তবায়নের পর।

চট্টগ্রামের প্রথম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে এটি। প্রকল্পের শুরুতে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে এসে নামার কথা ছিলো চৌমুহনি এলাকায়। এরপর বলা হলো ফ্লইওভার নামবে টাইগারপাসে। চার দফায় পরিকল্পনা বদলে এখন লালখান বাজারের আক্তারুজ্জামান ফ্লাইওভারের সঙ্গে সংযুক্ত করার কাজ চলছে।দফায় দফায় ড্রইং ডিজাইন পরিবর্তনের এই ডামাডোলে এবার টাইগারপাস থেকে নিউমার্কেট মুখি রাস্তায়ও একটি রেম্প নামানোর পরিকল্পনা করেছে সিডিএ।

কিন্তু এই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে হলে কাটতে হবে ছোটবড় শতাধিক গাছ। এছাড়া বন্দর নগরীর ঐতিহ্যের সঙ্গে জড়িত ডবল ডেকার সড়ক খ্যাত পাহাড়ের পাদদেশ ঘেষে গড়ে ওঠা নান্দনিক সড়কটিরও সৌন্দর্য নষ্ট হবে বলে মনে করছেন পরিবেশ কর্মীরা।

এই প্যারা মার্কিং করা গাছের ছবি দিয়ে শুরু হবে*
ইতোমধ্যে কুড়ালের কোপের অপেক্ষায় থাকা গাছগুলোকে চিহ্নিত করেছে সিডিএ। বনবিভাগ থেকে অনাপত্তিপত্র নিয়ে তা দেয়া হয়েছে জমির মালিক রেলওয়েকেও।

নগরবিধরা বলছেন, গাছ ও পাহাড় ধ্বংস না করেও অনেকগুলো বিকল্প ছিলো রেম্প নামানোর। সেগুলো পাশ কাটিয়ে প্রকৃতি ধ্বংসের মতো সহজ পথকে বেছে নিয়েছে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ -সিডিএ

সিডিএ বলছে, শতবর্ষি গাছগুলোর ডালপালা ছাটা হলেও কোন গাছের গোড়া থেকে কাটা হবে না। ছোট ছোট কটি গাছ কাটা হবে ।

সিডিএর এই প্রস্তাবকে হাস্যকর উল্লেখ করে গাছ ও পরিবেশ রক্ষায় মাঠে নেমেছে পরিবশবাদী বিভিন্ন সংগঠন। টাইগারপাস এলকায় মানববন্ধনসহ নানান কর্মসুচী পালন করছে তারা ।