করোনাকালে নিঃস্ব হয়ে পথে বসেছেন কিন্ডারগার্টেন স্কুলের শিক্ষক-কর্মচারী ও উদ্যোক্তারা
- আপডেট সময় : ০১:৫০:১৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২১
- / ১৫২৭ বার পড়া হয়েছে
করোনাকালে–নিঃস্ব হয়ে পথে বসেছেন সারাদেশের কিন্ডারগার্টেন স্কুলের শিক্ষক-কর্মচারী ও উদ্যোক্তারা। টানা দেড় বছর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ থাকায় স্কুল ভবনের ভাড়া ও শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন দিতে পারছেন না তারা। অনেক জায়গায় বন্ধ স্কুলে খোলা হয়েছে বিউটি পার্লার কিংবা দোকানপাট। এমন পরিস্থিতিতে প্রণোদনা ছাড়া অধিকাংশ স্কুল আর খোলার সম্ভাবনা নেই বলে আশংকা করছেন সংশ্লিষ্টরা। এতে বিপাকে পড়বে এসব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরাও। এসএটিভির সাথে সাক্ষাতকারে এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পরিচালক ও শিক্ষকরা জানিয়েছেন, তাদের নানা দুর্দশার কথা।
দেড় বছর ধরে নেই কোমলমতি শিক্ষার্থীদের কলকাকলী। সুনশান নীরবতায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা ধূলোময় স্কুল বেঞ্চগুলো।
করোনাকালে বিশ্ব ইতিহাসের সর্বোচ্চ লকডাউন চলছে বাংলাদেশের শিক্ষা খাতে। টানা দেড় বছর ধরে দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে লকডাউনের কারণে বন্ধ- ৬০ হাজারেরও বেশি বেসরকারী কিন্ডাগার্টেন। এতে নিঃস্ব হয়ে পথে বসেছেন প্রতিষ্ঠানের মালিক-পরিচালক ও শিক্ষক-কর্মচারীরা। শিক্ষকরা বলছেন, বেসরকারী এসব স্কুল বন্ধ থাকায় বেকার হয়ে তাদের রুটি-রুজির পথও বন্ধ হয়ে আছে।
এদিকে, স্কুল ভবনের ভাড়া দিতে না পেরে কেউ পড়েছেন লাখ লাখ টাকার ধার-দেনায়, কেউবা ক্লাস রুম ভাড়া দিয়ে বসিয়েছেন বিউটি পার্লার কিংবা দোকানপাট। তাতেও কাটেনি লোকসান।
এদিকে, কিছু কিছু কিন্ডারগার্টেন বিকল্প পদ্ধতিতে শিক্ষক-কর্মচারী কমিয়ে অল্প সংখ্যক লোকবল দিয়ে চালাচ্ছে অনলাইনে পাঠদান। এতে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা যথাযথ মনোসংযোগে সক্ষম না হওয়ায় লক্ষ্য পূরণের অভাবে বঞ্চিত হচ্ছেন বলে জানান স্কুলের অধ্যক্ষরা।
বাংলাদেশ কিন্ডারগার্টেন অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব জানান, প্রতিষ্ঠানগুলো টিকিয়ে রাখতে না পারলে ভবিষ্যতে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে দেশের শিশুশিক্ষা।