করোনার উপসর্গ জ্বর ও শ্বাসকষ্টে ব্রাহ্মণবাড়িয়া, রাজশাহী ও গাজীপুরে ৪ জনের মৃত্যু
- আপডেট সময় : ০২:০৩:৫৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ৮ এপ্রিল ২০২০
- / ১৭৩২ বার পড়া হয়েছে
করোনা ভাইরাসের উপসর্গ জ্বর ও শ্বাসকষ্টে ব্রাহ্মণবাড়িয়া, রাজশাহী ও গাজীপুরে ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার আইয়ূবপুর ইউনিয়নের চরছাউনী গ্রামের এক কৃষক মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসোলেশনে মারা গেছেন। তবে তিনি করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত ছিলেন কি-না তা এখনও জানা যায়নি। তার সংস্পর্শে আসা ১৬ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশ দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। এদিকে, নাসিরনগর উপজেলায় শ্বাসকষ্টে এক প্রবাসীর মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে উপজেলার জেঠাগ্রামে শ্বশুরবাড়িতে তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত সন্দেহে ওই বাড়ি লকডাউন করে দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন।
গাজীপুরের কাপাসিয়ায় ঠান্ডা ও জ্বরে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। ২৮ বছর বয়সের সেলিম কাপাসিয়া উপজেলার টক ইউনিয়নের উলুসারা গ্রামের সুরুজ্জামানের ছেলে। কাপাসিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাক্তার আব্দুস সালাম জানান, ওই যুবক নারায়ণগঞ্জে কাজ করতেন। ২১ দিন আগে তিনি ঠান্ডা ও জ্বর নিয়ে বাড়িতে আসেন। গেলো রাত একটার দিকে তার মৃত্যু হয়।
রাজশাহীর বাঘায় তাবলীগ জামাতের সদস্য আবুল কালাম আজাদ নামের এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। চিল্লা থেকে ফিরে নিজ গ্রামে মাদ্রাসার একটি কক্ষে কোয়ারেন্টাইনে ছিলেন তিনি। এ অবস্থায় সকাল ৬টার দিকে তার মৃত্যু হয়ে। গ্রামবাসীর ধারণা, তিনি করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। এদিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. সাইফুল ফেরদৌস জানান, মৃত ব্যক্তির নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।
বাগেরহাটে ৩ ঘন্টার ব্যবধানে স্বামী-স্ত্রীর মৃত্যু
বাগেরহাট প্রতিনিধি:বাগেরহাট:বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ পৌর শহরে বুধবার সকালে মাত্র তিন ঘন্টার এক বৃদ্ধদম্পতির মৃত্যু হয়েছে। তাদের মৃত্যুতে এলাকায় নানা গুঞ্জনের সৃষ্টি হয়েছে। বুধবার সকাল ৬টা ১০ মিনিটে মোরেলগঞ্জ পৌর শহরের সেরেস্তাদার বাড়ি এলাকার বাসিন্দা ৭৫ বয়সী সিপ্রা রানী ভৌমিক মারা যায়। এর তিন ঘন্টা পরে ৯টার দিকে তার স্বামী গীতা রঞ্জন ভৌমিক (৮৩) মারা যায়।
এ মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে এলাকার মানুষের মধ্যে নানা গুঞ্জন সৃষ্টি হয়। কিছুক্ষনের মধ্যেই পাঁচ সদস্যের একটি মেডিকেল টিম ওই বাড়িতে পৌছায়। তারা খোজ খবর নেয়। পরিবার ও প্রতিবেশীর সাথে চিকিৎসকরা কথা বলেন।
মৃত দম্পতির ছেলে সুবল ভৌমিক বলেন, বাবা-মা দুজনেরই ডায়বেটিস ও হার্টের সমস্যা ছিল। দুজনকে ভারতে চিকিৎসা শেষে এবছরের জানুয়ারী মাসে বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। সে সময় থেকেই তারা অসুস্থ্য ছিলেন। বাড়িতে অবস্থান করতেন। তাদের শরীরে শ^াসকষ্ট বা জ¦র ছিল না। করোনা পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ার পর ২৫ মার্চ থেকে ওই পরিবারের কেউ বাড়ি থেকে বের হতেন না বলে জানান তিনি।
মোরেলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মুফতি কামাল হোসেন বলেন, স্বল্প সময়ের ব্যবধানে এক দম্পতির মৃত্যুর খবর পেয়ে আমাদের মেডিকেল টিম ওই বাড়িতে যায়। সেখানে চিকিৎসকরা তাদের মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে অবহিত হন। তারা জানতে পারেন দীর্ঘদিন ধরে রোগে ভুগছিলেন এবং বার্ধক্যজনিত কারণে তাদের মৃত্যু হয়েছে। করোনা পরিস্থিতি থাকায় ওই পরিবারের সদস্যদের সতর্ক অবস্থানে থাকতে বলা হয়েছে। সার্বক্ষনিক উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করতে বলেছি। এছাড়াও ওই পরিবারটিকে পর্যবেক্ষনে রাখার কথা জানান।