করোনার কারণে লক্ষাধিক মামলার জট বেধেছে চট্টগ্রামের বিভিন্ন আদালতে
- আপডেট সময় : ০১:৫৩:১৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ মে ২০২০
- / ১৫৩৯ বার পড়া হয়েছে
করোনার কারণে লক্ষাধিক মামলার জট বেধেছে চট্টগ্রামের বিভিন্ন আদালতে। কার্যক্রম না চলায় ধারণ ক্ষমতার চারগুণ বন্দী নিয়ে হিমশিম খাচ্ছে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগার। এই বাস্তবতায় লঘু অপরাধে অভিযুক্তদের শর্তসাপেক্ষে মুক্তি দেয়ার পরামর্শ আইনজীবী নেতাদের। আর মানবাধিকার কর্মীরা বলছেন, বর্তমানের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে ভবিষ্যতের জন্য বিচার প্রক্রিয়াকে ডিজিটালাইজেশন করার বিকল্প নেই।
এক হাজার ৮০০ জন বন্দী ধারণক্ষমতা সম্পন্ন চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে এখন বন্দীর সংখ্যা ৭ হাজারের বেশী। স্বাভাবিক সময়ে যার পরিমান থাকতো ৪ হাজারের নিচে। পরিসংখ্যন বলছে, প্রতিদিন প্রায় দুই’শো থেকে আড়াই’শো বন্দী কারাগারে এলেও জামিনে মুক্তিও মিলতো সমপরিমান। করোনাকালে নতুন বন্দীর সংখ্যা অর্ধেকে নেমে এলেও মুক্তির সংখ্যাটা শুণ্যের কোঠায়।
করোনা প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে সাধারণ ছুটিকে আদালতের কার্যক্রম বন্ধ থাকায় বন্দীমুক্তি পথটিও বন্ধ হয়ে গেছে। এই বাস্তবতায় বিষেশ ব্যবস্থা চালুর পরামর্শ আইনজীবী নেতাদের। চট্টগ্রামের মোট ৯০টি আদালতের মধ্যে ১৭টিতেই বিচারক নেই দীর্ঘদিন। ফলে লক্ষাধিক মামলার জট রয়েছে আদালত ভবনে। তাই করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বিচারকের সংকট নিরসন করে বিচার কাজে গতি আনতে না পারলে বিচার প্রত্যাশীরা দুর্ভোগে পড়বেন দীর্ঘমেয়াদে।
শিগগিরি করোনা সংকট নিরসনের সম্ভাবনা নেই। তাই বিচার বিভাগ ডিজিটালাইজেশনের মাধ্যমে উন্নত বিশ্বের মতো ভিডিও কনফারেন্সে বিচারকাজ শুরু করার দবি মানবাধিকার কর্মীদের। করোনা সংক্রমনের ঝুঁকি এড়াতে সারা দেশের সাড়ে তিন হাজার কারাবন্দীকে মুক্তি দেয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছে কারা অধিদফতর। এরমধ্যে চট্টগ্রামের রয়েছে ২৩৬ জন। কিন্তু প্রয়োজনের তুলনায় তা অপ্রতুল বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। ফুটেজ-২