করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে অঘোষিত লকডাউনের প্রভাব পড়তে শুরু করেছে চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জে
- আপডেট সময় : ১২:৩৭:১৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ৮ এপ্রিল ২০২০
- / ১৫৪৪ বার পড়া হয়েছে
করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে অঘোষিত লকডাউনের প্রভাব পড়তে শুরু করেছে দেশের সবচেয়ে বড় নিত্যপণ্যের পাইকারী বাজার- চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জে। ইতিমধ্যে অধিকাংশ গুদামে শুকনো খাবারের টান পড়তে শুরু করেছে। আবার পচনশীল খাদ্য রাস্তায় ফেলে দেয়ার নজিরও আছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, এভাবে চলতে থাকলে, খুব শিগগির নিত্যপণ্যের বাজারে অস্থিরতা নেমে আসবে। তবে আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক বলছেন, সংকটকে পুঁজি করে কেউ যাতে স্বার্থ উদ্ধার করতে না পারে, সে ব্যাপারে সতর্ক রয়েছেন তারা।
ক’দিন আগেও খাতুনগঞ্জের চিত্র ছিলো এমন। গুদাম থেকে পণ্য কিনে প্রত্যন্ত এলাকার বাজারে পাঠাতে ব্যস্ত সময় কাটাতো আড়ৎদার, মজুদদার, আমদানীকারক এমনকি শ্রমিকরদের। কারণ আমদানী নির্ভর বাংলাদেশের নিত্যপণ্যের চাহিদার অন্তত ৪৫ ভাগই এই বাজারের ওপর নির্ভরশীল। ২৪ ঘন্টা ব্যস্ত থাকা বাজারটি এখন পুরো ফাঁকা। সঠিক সময়ে বিক্রি করতে না পারায় পচে যাওয়া খাদ্যপণ্য ফেলে রাখা হয়েছে রাস্তার পাশে।
ব্যবসায়ী নেতারা বলছেন, গুদামে সংরক্ষিত পচনশীল পণ্যে পচন ধরার পাশাপাশি আমদানী না থাকায়, টান পড়তে শুরু করেছে চাল, ডাল, মসলাসহ শুকনো খাবারে। রোজার আগে ইতিবাচক খবর না এলে, অস্থিরতা তৈরী হবে। আর জেলা খাদ্য কর্মকর্তা বলছেন, দেশে চাল-ডাল, ভোজ্য তেলসহ কোন পণ্যের ঘাটতি নেই। তাই দুর্যোগপুর্ণ এই সময়কে পুঁজি করে কেউ আখের গোছাতে চাইলে শক্ত হাতে দমন করা হবে। করোনার সংক্রমন ঠেকাতে অঘোষিত লকডাউনে সাধারণ মানুষ ঘরবন্দি থাকায়, বাজারে এখনো অস্থিরতা তৈরী হয়নি। কিন্তু পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে শুরু করলে, বাজারে স্থিতিশীলতা ধরে রাখাই চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।