করোনা আক্রান্ত না হয়েও ৫০ শতাংশ মানুষের শরীরে প্রাকৃতিকভাবে এন্টিবডি তৈরী হয়েছে
- আপডেট সময় : ০২:০৪:০৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২১
- / ১৫১৮ বার পড়া হয়েছে
করোনা আক্রান্ত না হয়েও ৫০ শতাংশ মানুষের শরীরে প্রাকৃতিকভাবে এন্টিবডি তৈরী হয়েছে। এছাড়া টিকার প্রথম ডোজ নেয়া ৬২ দশমিক ৩৩ আর দ্বিতীয় ডোজ সম্পন্ন করা ৯৯ দশমিক ১৩ শতাংশের মধ্যে তৈরী হয়েছে করোনা প্রতিরোধের সক্ষমতা। ৬ মাস পরও যা বিদ্যমান থাকে ২৪৭ দশমিক ০৯ ডিইউ পার মিলি। যা করোনা প্রতিরোধের জন্য যথেষ্ট। ভেটেনারি ও এনিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়-সিভাসুর নেতৃত্বে একদল গবেষক গেল ৭ মাস ধরে ৭৪৬ জনের ওপর গবেষণা চালিয়ে গতকাল এই তথ্য প্রকাশ করেছে।
এবার করোনার এন্টিবডি তৈরী ও তার স্থায়িত্ব নিয়ে গবেষণা রিপোর্ট প্রকাশ করেছে ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়- সিভাসু। গবেষক দলেন প্রধান জানান, টিকা না নিয়েও অর্ধেক মানুষের শরীরে প্রাকৃতিকভাবে টাইটার লেভেলে প্রতিরোধ ক্ষমতা মাত্র ৫৩ দশমিক ৭১ ডি.ইউ প্রতি মিলিতে। প্রথম ডোজ টিকা নেয়ার ৪ মাস পর টিকা গ্রহীতাদের শরীরে যার পরিমাণ ১৫৯ দশমিক ০৮, আর দ্বিতীয় ডোজ নেয়ার পর প্রতিরোধ ক্ষমতা দাঁড়ায় ২৫৫ দশমিক ৪৬ ডিইউ।
তবে প্রাকৃতিকভাবে গড়ে ওঠা এন্টিবডি ও টিকার কারণে গড়ে ওঠা এন্টিবডি দুটোর একটিও স্থায়ী নয়। উভয়ের ক্ষেত্রেই টাইটার লেভেল কমতে থাকে ধীরে ধীরে। গবেষক দলের প্রধান মনে করেন, এন্টিবডির সক্ষমতা জানতে গবেষণা চালিয়ে যেতে হবে আরো অন্তত ৬ মাস।
শুরু থেকেই করোনার ভেরিয়েন্ট, মৃত্যুর কারণসহ এ পর্যন্ত মোট ৪টি গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে সিভাসু। চলমান রয়েছে আরো কয়েকটি। তবে সবগুলোতেই টিকাদান কর্মসুচী তরান্বিত করার সুপারিশ করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
গবেষণার জন্য বেছে নেয়া ৭৪৬ জনের মধ্যে ২৯২ জন কোন টিকা গ্রহণ করেননি। ২২৩ জন প্রথম ডোজ আর ২৩১ জন দ্বিতীয় ডোজের টিকা গ্রহণ করেছিলেন।