করোনা আর ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলায় সার্বক্ষণিক তদারকি করছেন প্রধানমন্ত্রী
- আপডেট সময় : ০১:৫৮:২৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১ জুন ২০২০
- / ১৫৩১ বার পড়া হয়েছে
করোনা আর ঘূর্ণিঝড় আম্পানের ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলায় সার্বক্ষণিক তদারকি করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে সচেতনতা সৃষ্টি ও চিকিৎসাখাতের উন্নয়ন, লকডাউনে অর্থনীতিকে সচল রাখা, নিম্নবিত্তের পাশাপাশি মধ্যবিত্তের কাছে সহায়তা পৌঁছানো কিংবা কৃষকের ফসল কাটা সব বিষয়েই তীক্ষ্ণ নজর রেখে দক্ষ সমন্বয় করছেন তিনি। আর তাইতো ভালোভাবে বৈশ্বিক মহামারী করোনাকে মোকাবিলা করছে বাংলাদেশ। মহামারীর মাঝেই সুপার সাইক্লোনও ব্যাঘাত ঘটাতে পারেনি তার কর্মযজ্ঞে।
বছরের শুরুতেই বিশ্ব হঠাৎই বিপর্যস্ত করোনার আঘাতে। গোটা জাতি যখন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনে প্রস্তত, ঠিক আগ মুহুর্তে বাংলাদেশেও থাবা বসায় কোভিড ১৯। মুজিববর্ষের আনুষ্ঠানিকতা কমিয়ে ডিজিটাল মাধ্যমে পালন করা হয়। এ মহামারী কতটা নির্মম ভয়ঙ্কর হতে পারে আঁচ করে পূর্ব সতর্কতা নেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
করোনার বিস্তার রোধে সাধারণ ছুটি মেনে গণভবন থেকে নিয়মিত সব কাজ পরিচালনা করছেন বঙ্গবন্ধু কন্যা। সামলাচ্ছেন দাপ্তরিক কাজ, সভা করছেন, ভিডিও কনফারেন্সে নিচ্ছেন মাঠ পর্যায়ের খোঁজ, দিচ্ছেন নানা নির্দেশনা।
মানুষকে সচেতন করতে যেমন নির্দেশ দিচ্ছেন, পাশাপাশি ২৬ মার্চ থেকে সাধারণ ছুটি ঘোষণার পর থেকেই সরকার ও দলের সমন্বয়ে জনগণকে খাদ্য ও আর্থিক সহায়তা প্রদানের বিষয়টিও মনিটরিং করছেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে মন্ত্রিপরিষদ বৈঠক থেকে শুরু করে অর্থ বছরের প্রস্তাবিত বাজেট বিষয়েও প্রয়োজনীয় সভা নিয়মিত করে যাচ্ছেন। দেড় মাসে ৬৪ জেলার জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব এবং বিভিন্ন দপ্তরের মাঠ পর্যায়ের সাথে ভিডিও কনফারেন্সে গণভবন থেকে সরাসরি নজরদারি ও যোগাযোগ রাখছেন তিনি। ৩৩ দিনে ছয় বার ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে সমন্বয় করছেন ত্রান ব্যবস্থাপনাও। অনিয়ম করায় ৭২ জন স্থানীয় সরকারের জনপ্রতিনিধির বিরুদ্ধে নিয়েছেন কঠোর ব্যবস্থাও।
দলমত না দেখে সঠিক তালিকা তৈরি করে প্রকৃত অসহায় মানুষের কাছে ত্রাণসহ সরকারের সহযোগিতা পৌঁছে দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন সরকার প্রধান শেখ হাসিনা। খাদ্য সহায়তার পাশাপাশি ৫০ লাখ হতদরিদ্র্যের কাছে নগদ অর্থ পৌঁছেছেন তিনি ।
স্বাস্থ্যখাতকে শক্তিশালী করতে নিয়োগ দিয়েছেন ২ হাজার ডাক্তার ও ৫ হাজারেরও বেশি নার্স। সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে আলাদা করোনা ইউনিট খোলার নির্দেশে ও সমন্বয়ে দিয়েছেন দৃষ্টি।
অর্থনীতি সচল রাখতে নিয়েছেন তিন বছর মেয়াদী পরিকল্পনা। ১৮টি প্যাকেজ এর আওতায় ১ লাখ ১ হাজার ১১৭ কোটি টাকার আর্থিক প্রণোদনা ঘোষণা করেছেন। ক্ষতি পুষিয়ে নিতে কৃষক, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী, গার্মেন্টসখাত থেকে শুরু করে বিভিন্ন আর্থিক খাতে স্বল্প সুদে যেমন ঋণ দেয়া হবে তেমনি ঋণের সুদ মওকুফেও মানবিক হাত প্রসারিত সরকার প্রধানের।
খাদ্যসংকট যেন না হয়, সেজন্য একাধিক ফসল আবাদের আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। বঙ্গবন্ধু কন্যার নির্দেশে আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা কৃষকের সাহায্যে এগিয়ে আসায় সঠিক সময়ে ঘরে উঠেছে সোনালী ফসল ।
মসজিদ , কওমি মাদ্রাসায় আর্থিক প্রণোদনাই কেবল নয়, স্কুলকলেজ বন্ধ থাকায় শিক্ষার ব্যাঘাত যেন না ঘটে সেজন্য চলছে অনলাইন ক্লাস আর মোবাইলে উপবৃত্তি।
কেবল দেশেই নয়, বৈশ্বিক মহামারী মোকাবিলায় আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক ফোরামেও বলিষ্ঠ নেতৃত্ব দিয়ে চলেছেন বঙ্গবন্ধু কন্যা। ওয়ার্ল্ড ইকনোমিক ফোরাম, সার্কসহ বিভিন্ন জোটের নেতাদের সাথে ভার্চুয়াল সম্মেলনে যোগ দিয়ে সহযোগিতার ক্ষেত্র রচনা করছেন তিনি ।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্ব আর মনোবল নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে করোনাযুদ্ধে জয়ী হবে বাংলাদেশ, জাতি সেই প্রত্যাশায়।