কুমিল্লায় করোনা উপসর্গ নিয়ে ৪ জনসহ ঝিনাইদহ, সিরাজগঞ্জ, সাতক্ষীরা, মৌলভীবাজার ও নড়াইলে নয়জনের মৃত্যু হয়েছে।

কুমিল্লায় করোনা উপসর্গ নিয়ে ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে ২ জন মহিলা। মৃত পারভিন আক্তার, সুরুজ মিয়া ও রুশুআরা বেগম কুমিল্লার বাসিন্দা, আর আবুল কালামের বাড়ি চাঁদপুর জেলার শাহরাস্তি উপজেলায়। এদের মধ্যে জ্বর, সর্দি, কাশিসহ করোনা উপসর্গ নিয়ে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিটের আইসিইউতে ২ জন এবং আইসোলেশনে ২ জন চিকিৎসাধীন ছিলেন।

ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরে করোনা উপসর্গ নিয়ে আলাউদ্দিন নামে বিআরবি’র এক কর্মকর্তার মৃত্যু হয়েছে। সে ওই উপজেলার কুশনা ইউনিয়নের মামুনশিয়া গ্রামের আব্দুল মান্নানের ছেলে। জ্বর, সর্দি ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে ঝিনাইদহ সদর হাসাপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে চিকিৎসারত অবস্থায় গেল রাতে তিনি মারা যান।

সিরাজগঞ্জ সদরের পৌর এলাকার রাণীগ্রাম মধ্যপাড়ার নিজ বাড়ীতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আব্দুল কুদ্দুস চিকু নামে এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়। এর আগে করোনার উপসর্গ- জ্বর, ঠান্ডা ও শ্বাসকষ্ট দেখা দিলে আব্দুল কুদ্দুসকে ১২ জুলাই সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

করোনার উপসর্গ নিয়ে মারা গেলেন সাতক্ষীরা থেকে প্রকাশিত দৈনিক আজকের সাতক্ষীরার সম্পাদক ও প্রকাশক মহসিন হোসেন বাবলু। রাতে তিনি সাতক্ষীরা শহরের রসুলপুর মেহেদীবাগের নিজ বাড়িতে মৃত্যুবরণ করেন। তিনি জ্বর ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে কয়েকদিন ধরে বাড়িতে চিকিৎসাধীন ছিলেন। এদিকে, করোনা উপসর্গ নিয়ে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে ঈসমাইল হোসেন।

মৌলভীবাজারের বড়লেখায় জ্বর-সর্দি-কাশি ও গলাব্যাথাসহ করোনা উপসর্গ নিয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এক নারীর মৃত্যু হয়েছে।
শনিবার রাতে বড়লেখা উপজেলার সুড়িকান্দি গ্রামের সালেহা বেগম মারা যায়।

করোনা উপসর্গ নিয়ে নড়াইল শহরের সানফ্লাওয়ার প্রিপারেটরী স্কুলের সিনিয়র শিক্ষিকা মাহমুদা কবিতা মারা গেছেন। সকালে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।