০৫:২০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪

করোনা ভাইরাসের কারণে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে শুরু করেছে দেশের আমদানী রপ্তানী বাণিজ্যে

এস. এ টিভি
  • আপডেট সময় : ১০:২৬:৪৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৮ ফেব্রুয়ারী ২০২০
  • / ১৫৪৪ বার পড়া হয়েছে
এস. এ টিভি সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

চীনে ছড়িয়ে পড়া করোনা ভাইরাসের কারণে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে শুরু করেছে দেশের আমদানী রপ্তানী বাণিজ্যে। চীন থেকে প্রতি তিন দিনে গড়ে দুটি পণ্যভর্তি জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দরে এলেও, গেল ১৫ দিনে কোন জাহাজ আসেনি। এতে কাঁচামাল সংকটে রপ্তানী বাণিজ্য ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পাশাপাশি আমদানী পণ্যে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। এতে নিত্যপণ্যের বাজার অস্থির হয়ে ওঠার আশংকা করছেন ব্যবসায়ী নেতারা। আর বন্দর কর্তৃপক্ষ বলছে, চীনের জাহাজ ঢোকার ওপর নিষেধাজ্ঞা না থাকলেও, কয়েক ধাপে পরীক্ষার মুখোমুখি হতে হবে পণ্য ও নাবিকদের।

দেশের সবচেয়ে বড় রপ্তানী পণ্যের নাম তৈরী পোষাক। চীনের বাজারে তার তেমন প্রভাব না থাকলেও, এ শিল্পের কাঁচামালের ৯০ শতাংশই আসে চীন থেকে। তাই বলাই যায় এই দেশটির ওপরই প্রায় পুরোপুরি নির্ভরশীল বাংলাদেশের আরএমজি সেক্টর। এছাড়াও আসবাব খাতের স্ক্রু ড্রাইভার থেকে শুরু করে সরকারি-বেসরকারি প্রকল্পের যন্ত্রপাতি, বাণিজ্যির পণ্য এমনকি দক্ষ জনশক্তি পর্যন্ত চীনের ওপর নির্ভর করতে হয় বাংলাদেশকে।

সাম্প্রতি দেশটিকে ছড়িয়ে পড়া প্রাণঘাতি করোনা ভাইরাসের ফলে এসব পণ্যের বুকিং প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে। এতে সংকটে পড়েছে দেশের আমদানী রপ্তানী বাণিজ্য। (চীনের ফুটেজ ঢাকা থেকে সংযুক্ত হবে।)
শুধু শিল্প কল কারখানা নয়, খাদ্যপণ্যের বড় একটি অংশও আসে চীন থেকে। বেশীরভাগ ক্যাটাগরীর বাণিজ্যিক পণ্যের জন্য শুধু একটি দেশের ওপর নির্ভরশীল হওয়ায় এই অবস্থান তৈরী হয়েছে। তাই বিকল্প বাজার খুজতে উদ্যোগী হতে সরকারের সহযোগীতা চায় চট্টগ্রাম চেম্বার।

মাসে অন্তত ২০ টি করে জাহাজ চীন থেকে সরাসরি চট্টগ্রাম বন্দরে আসে। কিন্তু গত ১৫ দিনে একটি জাহাজও আসেনি। বৃহস্পতিবার সিঙ্গাপুর হয়ে একটি চীনা জাহাজ চট্টগ্রামের উদ্যেশ্যে রওনা হয়েছে। জাহাজটি বাংলাদেশের জলসীমায় পৌছনোর সঙ্গে সঙ্গে পরীক্ষা করার প্রস্তুতি নিয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। ব্যবসায়ীরা বলছেন, করোনা ভাইরাসের কারণে সৃষ্ট পরিস্থিতি দীর্ঘ হলে, বাংলাদেশের অর্থনীতে বড় ধরণের প্রভাব পড়ার আশংকা রয়েছে।

এস. এ টিভি সমন্ধে

SATV (South Asian Television) is a privately owned ‘infotainment’ television channel in Bangladesh. It is the first ever station in Bangladesh using both HD and 3G Technology. The channel is owned by SA Group, one of the largest transportation and real estate groups of the country. SATV is the first channel to bring ‘Idol’ franchise in Bangladesh through Bangladeshi Idol.

যোগাযোগ

বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬,
গুলশান-১, ঢাকা-১২১২,
বাংলাদেশ।
ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০
ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪
ই-মেইল: info@satv.tv
ওয়েবসাইট: www.satv.tv

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০১৩-২০২৩। বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ। ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০, ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

করোনা ভাইরাসের কারণে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে শুরু করেছে দেশের আমদানী রপ্তানী বাণিজ্যে

আপডেট সময় : ১০:২৬:৪৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৮ ফেব্রুয়ারী ২০২০

চীনে ছড়িয়ে পড়া করোনা ভাইরাসের কারণে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে শুরু করেছে দেশের আমদানী রপ্তানী বাণিজ্যে। চীন থেকে প্রতি তিন দিনে গড়ে দুটি পণ্যভর্তি জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দরে এলেও, গেল ১৫ দিনে কোন জাহাজ আসেনি। এতে কাঁচামাল সংকটে রপ্তানী বাণিজ্য ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পাশাপাশি আমদানী পণ্যে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। এতে নিত্যপণ্যের বাজার অস্থির হয়ে ওঠার আশংকা করছেন ব্যবসায়ী নেতারা। আর বন্দর কর্তৃপক্ষ বলছে, চীনের জাহাজ ঢোকার ওপর নিষেধাজ্ঞা না থাকলেও, কয়েক ধাপে পরীক্ষার মুখোমুখি হতে হবে পণ্য ও নাবিকদের।

দেশের সবচেয়ে বড় রপ্তানী পণ্যের নাম তৈরী পোষাক। চীনের বাজারে তার তেমন প্রভাব না থাকলেও, এ শিল্পের কাঁচামালের ৯০ শতাংশই আসে চীন থেকে। তাই বলাই যায় এই দেশটির ওপরই প্রায় পুরোপুরি নির্ভরশীল বাংলাদেশের আরএমজি সেক্টর। এছাড়াও আসবাব খাতের স্ক্রু ড্রাইভার থেকে শুরু করে সরকারি-বেসরকারি প্রকল্পের যন্ত্রপাতি, বাণিজ্যির পণ্য এমনকি দক্ষ জনশক্তি পর্যন্ত চীনের ওপর নির্ভর করতে হয় বাংলাদেশকে।

সাম্প্রতি দেশটিকে ছড়িয়ে পড়া প্রাণঘাতি করোনা ভাইরাসের ফলে এসব পণ্যের বুকিং প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে। এতে সংকটে পড়েছে দেশের আমদানী রপ্তানী বাণিজ্য। (চীনের ফুটেজ ঢাকা থেকে সংযুক্ত হবে।)
শুধু শিল্প কল কারখানা নয়, খাদ্যপণ্যের বড় একটি অংশও আসে চীন থেকে। বেশীরভাগ ক্যাটাগরীর বাণিজ্যিক পণ্যের জন্য শুধু একটি দেশের ওপর নির্ভরশীল হওয়ায় এই অবস্থান তৈরী হয়েছে। তাই বিকল্প বাজার খুজতে উদ্যোগী হতে সরকারের সহযোগীতা চায় চট্টগ্রাম চেম্বার।

মাসে অন্তত ২০ টি করে জাহাজ চীন থেকে সরাসরি চট্টগ্রাম বন্দরে আসে। কিন্তু গত ১৫ দিনে একটি জাহাজও আসেনি। বৃহস্পতিবার সিঙ্গাপুর হয়ে একটি চীনা জাহাজ চট্টগ্রামের উদ্যেশ্যে রওনা হয়েছে। জাহাজটি বাংলাদেশের জলসীমায় পৌছনোর সঙ্গে সঙ্গে পরীক্ষা করার প্রস্তুতি নিয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। ব্যবসায়ীরা বলছেন, করোনা ভাইরাসের কারণে সৃষ্ট পরিস্থিতি দীর্ঘ হলে, বাংলাদেশের অর্থনীতে বড় ধরণের প্রভাব পড়ার আশংকা রয়েছে।