করোনা ভাইরাসের প্রভাবে দুধ নিয়ে বিপাকে পড়েছেন পাবনা ও সাতক্ষীরার খামারীরা
- আপডেট সময় : ১২:০৭:৪০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২০
- / ১৫৪১ বার পড়া হয়েছে
করোনা ভাইরাসের প্রভাবে দুধ নিয়ে বিপাকে পড়েছেন পাবনা ও সাতক্ষীরার খামারীরা। বিভিন্ন কোম্পানি তাদের নির্ধারিত পরিমাণ দুধ নিলেও উৎপাদিত অতিরিক্ত দুধ না নেয়ায়, পানির দরে বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন দুগ্ধ খামারীরা। উদ্ভুত পরিস্থিতিতে দুগ্ধ খামার টিকিয়ে রাখতে সরকারি প্রণোদনা চেয়েছেন খামারীরা।
পাবনার চাটমোহর উপজেলার উথুলীর হযরত আলীর ৫টি গাভী থেকে প্রতিদিন দুধ হচ্ছে ৭০ লিটার। ৬০ লিটার দুধ কোম্পানি নিলেও বাকি ১০ লিটার বিক্রি করতে হচ্ছে পানির দরে। হযরত আলীর মতো পাবনার বিভিন্ন অঞ্চলের খামারীদের একই অবস্থা। জেলায় ৬ হাজার ৫৬৪টি খামারে ১ লাখ ৭০ হাজার গাভী থেকে প্রতিদিন দুধ হয় ৭ লাখ লিটার। কোম্পানির বাইরের অতিরিক্ত দুধ এতোদিন মিষ্টিসহ বিভিন্ন খাদ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানে দেয়া হতো। করোনার কারণে সেসব বন্ধ ও হাট-বাজারে চাহিদা কমে যাওয়ায় ধস নেমেছে দুধের দামে।
দুধ সংগ্রহকারী কোম্পানীর দাবি তারা খামারীদের কাছ থেকে নিয়মিত দু’বেলা দুধ নিচ্ছেন। তবে করোনায় তাদের দুধ নেয়ায়ও সমস্যা হচ্ছে। করোনায় খামারীরা লোকসানের বিষয়টি সরকারকে অবহিত করার কথা জানান জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা। সাতক্ষীরার দুধপল্লী খ্যাত তালার জিয়ালা নলতা এলাকার এক হাজার খামারিও পড়েছে চরম সংকটে। প্রতিদিন ৫০ হাজার লিটার দুধের মধ্যে দু’টি প্রতিষ্ঠান মিলে প্রায় ৯ হাজার লিটার দুধ সংগ্রহ করে। বাকী দুধ সাতক্ষীরা ও খুলনার বিভিন্ন এলাকার মিষ্টির দোকান ও কারখানায় সরবরাহ করা হতো। লকডাউনে মিষ্টির দোকান ও কারখানা বন্ধ থাকায় খামারিরা চরম সংকটে। ১০ টাকা লিটার দরেও এখন দুধ বিক্রি হচ্ছে না। নষ্ট হচ্ছে এসব দুধ।
হাজার হাজার লিটার দুধ নষ্টের হাত থেকে রক্ষা করতে না পারলে অনেক খামারিই পথে বসবে বলে জানান সমিতির এই নেতা।
খামারীদের সমস্যা সমাধানে সরকারের উচ্চ পর্যায়ে জানানো হয়েছে বলে জানান উপজেলা প্রশাসনের সংশ্লিষ্টরা। দুগ্ধ খামারীদের সহায়তায় সরকার আর্থিক সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেবেন- এমনটাই দাবি সংশ্লিষ্টদের।