মেহেরপুরে অনেক প্রবাসীকে এখনও হোম কোয়ারেন্টইনে আনা সম্ভব হয়নি। করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় এমন উদাসিনতা গ্রামপর্যায়ে বেশি। এদিকে, নেত্রকোনায় বন্ধ হচ্ছে না সাধারণ মানুষের অবাধ চলাফেরা, গণপরিবহন চলাচলও অব্যাহত রয়েছে। এতে প্রাণঘাতী করোনা দ্রুত ছড়িয়ে অনেকে আক্রান্ত হওয়ার আশংকা রয়েছে। তবে প্রশাসনকে সহযোগিতায় মাঠে কাজ করছে সেনাবাহিনী।

করোনা ভাইরাস সর্তকতায় মেহেরপুরকে লকডাউন করা হয়েছে। বন্ধ আছে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, অফিস আদালত, গণপরিবহন। মাঠে সেনাবাহিনী, পুলিশ জনসচেতনতা বাড়াতে চালিয়েছে প্রচারপ্রচারণা। তবে এখনও সচেতনতা বাড়েনি গ্রাম পর্যায়ে। সীমান্তবর্তী গ্রামগুলোতে অনেক প্রবাসী বাড়ি ফিরেছেন। তাদের কেউ-ই হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশনা মানছেন না। শহরে গোপনে হলেও গ্রামে প্রকাশ্যে দলবেঁধে খেলাধুলা, চায়ের দোকানে আড্ডা, বন্ধুদের নিয়ে জটলা করে গল্প- কিছুই থেমে নেই।

করোনা মোকাবেলায় স্বাস্থ্যবিধি গ্রামের মানুষজন মানছে না। এজন্য দরকার সচেতনতামূলক প্রচারপ্রচারণা।

স্বাস্থ্যবিভাগ ও চিকিৎসকরা প্রবাসীদের চিহ্নিত করে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখাতে কাজ করে যাচ্ছে, এমনটাই জানালেন জেলা প্রশাসক।করোনা থেকে রক্ষা পেতে গণপরিবহন চলাচল বন্ধ ও মাস্ক ব্যবহারের নির্দেশনা নেত্রকোনায় অনেকেই মানেছে না। এতে করোনার প্রাদুর্ভাব বেড়ে যেতে পারে বলে আশংকা করছে স্থানীয়রা।

এদিকে, করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সড়কে জীবানু নাশক স্প্রে, হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে বাধ্য করা, ঘর থেকে বের না হওয়াসহ জনগণকে সচেতন করতে প্রচারনা চালিয়ে যাচ্ছে সেনাবাহিনী।তবে সরকারের নির্দেশ অনুযায়ী কঠোরভাবে কাজ চলছে বলে জানান জেলা প্রশাসক।

করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহন করবে সংশ্লিষ্টরা,এমনটিই প্রত্যাশা নেত্রকোনাবাসীর।