করোনা সংকট মোকাবিলায় ১৬ হাজার কোটি টাকার বিশেষ বরাদ্দ প্রস্তাবিত বাজেটে
- আপডেট সময় : ০৭:৪২:২৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ জুন ২০২০
- / ১৫৩৩ বার পড়া হয়েছে
করোনাভাইরাস মোকাবেলা এবং অর্থনীতির পুনরুদ্ধারকে প্রাধান্য দেয়া হয়েছে এবারের প্রস্তাবিত বাজেটে। শুধুমাত্র করোনা সংকট মোকাবিলায় রাখা হয়েছে ১৬ হাজার কোটি টাকার বিশেষ বরাদ্দ। এর মধ্যে ১০ হাজার কোটি টাকা রাখা হয়েছে সরাসরি করোনা মোকাবিলায় খরচের জন্য। এ ছাড়া ক্ষতিগ্রস্ত শিল্প-কারখানার জন্য সরকার ঘোষিত প্যাকেজের সুদ খাতে খরচ বাবদ রাখা হয়েছে সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা।
করোনাভাইরাসের ধাক্কায় স্থবির দেশের অর্থনীতি। আবাসন, উৎপাদন, আমদানি-রপ্তানিসহ অর্থনীতির সব খাতে বিরাজ করছে অচলাবস্থা। এই কঠিন সময়ে বিকেলে জাতীয় সংসদে ২০২০-২১ অর্থবছরের জন্য পাঁচ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকার বাজেট পেশ করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
বাজেট বক্তৃতায় বলা হয়, ঘাটতি অর্থায়নে ৮০ হাজার ১৭ কোটি টাকা আসবে বৈদেশিক অনুদান থেকে। অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে নেওয়া হবে ১ লাখ ৯ হাজার ৯৮৩ কোটি টাকা। তবে বিশাল অংকের এই বাজেট ঘাটতি মোকাবেলা অসম্ভব হয়ে উঠতে পারে বলে অভিমত অর্থনীতিবিদদের।
বাজেটে মোট দেশজ উৎপাদন জিডিপি’র আকার নির্ধারণ করা হয়েছে ৩১ লাখ ৭১ হাজার ৮০০ কোটি টাকার। প্রবৃদ্ধির হার ধরা হয়েছে ৮ দশমিক ২ শতাংশ। তবে টাকার অঙ্কে সংশোধিত জিডিপির তুলনায় নতুন জিডিপি ৩ লাখ ৬৬ হাজার ১০০ কোটি টাকা বেশি। বর্তমান প্রেক্ষাপটে জিডিপির এই লক্ষ্যমাত্রা অর্জন অসম্ভব বলে অভিমত অর্থনীতিবিদদের।
তবে এবারের বাজেট বাজেট বাস্তবায়ন ও রাজস্ব আদায় অনেকটা চ্যালেঞ্জিং হলেও করোনাভাইরাসের কারণে টালমাটাল অর্থনীতিতে গতি ফেরাতে বেশ কিছু উদ্যোগও রয়েছে বাজেটে। এরমধ্যে অন্যতম এবারের বাজেটে ঢালাওভাবে কালোটাকা সাদা করার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। আইনে যাই থাকুক না কেন ১০ শতাংক কর দিয়ে পুঁজি বাজার ও আবাসন খাতে কালো টাকা বিনিয়োগ করলে বিনিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন তোলা যাবে না।
এ ছাড়া একই সময় ব্যক্তিশ্রেণির করদাতাগণ পুঁজিবাজারে অর্থ বিনিয়োগ করলে, ওই বিনিয়োগের ওপর ১০ শতাংশ কর প্রদান করলে, আয়করসহ কোনো কর্তৃপক্ষ প্রশ্ন করবে না।
মানুষের আয়ে করোনার দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব পড়ায় বাজেটে করমুক্ত আয়ের সীমা তিন লাখ টাকা করা হয়েছে। অর্থ্যাৎ কোন ব্যক্তির বার্ষিক আয় তিন লাখ টাকার কম হলে তাকে কর দিতে হবে না। আগে যা ছিলো আড়াই লাখ টাকা।
এছাড়া করোনা মোকাবিলায় স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের আওতায় বর্তমানে পাঁচ হাজার ৫০০ কোটি টাকার বিশেষ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।এরপরও নতুন বাজেটে করোনা মোকাবিলায় যেকোনো জরুরি চাহিদা মেটানোর জন্য ১০ হাজার কোটি টাকার থোক বরাদ্দের কথা জানান অর্থমন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামাল।
করোনাভাইরাসজনিত মহামারির কারণে চারপাশকে ঘিরে রাখা অন্ধকার কেটে আলোকিত ভোর উন্মোচিত হবে বলেও আশাবাদ অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের।