কর্মকর্তাদের প্রভাবে দুর্নীতির স্বর্গরাজ্য রেলওয়ে পূর্বাঞ্চল
- আপডেট সময় : ০৫:১৭:০৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ অক্টোবর ২০২১
- / ১৫২৩ বার পড়া হয়েছে
রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের অব্যবহৃত জমি তদারকির কেউ-ই যেন নেই। শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা আর প্রভাব থাকলে নামমাত্র অর্থে শত শত একর জমি ইজারা নেয়া কোন ব্যাপারই না। কাগজ-কলমে কিছু শর্ত দেয়া থাকলেও তা অনুসরণ করা হচ্ছে কি-না তার খেয়ালও কেউ রাখছেন না। রেলওয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, অব্যবহৃত ভু-সম্পত্তি ইজারা দেয়ায় রেলের আয় বাড়ছে।
চট্টগ্রামের সিআরবি। সবুজ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর এলাকাটিকে হাসপাতাল, মেডিকেল কলেজ ও নার্সিং ইনস্টিটিউটসহ যৌথভাবে বেশকিছু স্থাপনা নির্মাণ করতে চায় বেসরকারি প্রতিষ্ঠান- ইউনাইটেড ও রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। এলাকার ৬ একর জমি মাত্র ৮ কোটি টাকা ধরে নামমাত্র মূল্যে ইউনাইটেড হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে দীর্ঘমেয়াদে ইজারা দিয়েছে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চল। এমন সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ৩ মাস ধরে আন্দোলন চলছে।
চট্টগ্রামের প্রধান বিনোদন কেন্দ্র ফয়’স লেকের চিত্র এটি। ৩৩৬ দশমিক ৬২ একর আয়তনের বিশাল এই ভূমির বিপরীতে রেলওয়ে উন্নয়ন কর দেয় ১ কোটি ৯৮ লাখ টাকা। কিন্তু ইজারাদার কনকর্ড গ্রুপ এজন্য রেলওয়েকে পরিশোধ করে মাত্র ৩৭ লাখ টাকা। গেলো ১০ বছর ধরে অসম এই চুক্তি বাতিলের সিদ্ধান্ত চিঠি চালাচালিতেই সীমাবদ্ধ।
রেল কর্তৃপক্ষের দাবি, শর্তভঙ্গের প্রমাণ পেলেই ইজারা বাতিলের উদ্যোগ নেন তারা।
আর ভূ-সম্পত্তি বিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন, যাত্রীসেবার পাশাপাশি অব্যবহৃত জমি ইজারা দেয়ার মাধ্যমেও আয় বাড়াতে এই উদ্যোগ।
এগুলোতেই থেমে নেই রেলওয়ে। পুরোনো রেলস্টেশনের মূল ভবনটিও সম্প্রতি একটি হোটেলের কাছে ইজারা দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এছাড়া ইউএসটিসি, ইমপেরিয়াল হাসপাতাল, ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, লেডিস ক্লাবসহ বড় বড় অসংখ্য প্রতিষ্ঠানের বহুতল ভবন গড়ে উঠেছে এই রেলের জমিতে।
রেলের জমি ইজারা দিতে ৬টি ক্যাটাগরিতে বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বাজার দর পর্যালোচনার নিয়ম আছে। সবক্ষেত্রেই থাকবে রেল আর সাধারণ মানুষের স্বার্থ বিবেচনার বিধান। কিন্তু এসব নিয়ম-কানুন, বিধি-বিধান শুধু কাগজ কলমেই সীমাবদ্ধ।