কর ফাঁকির অভিযোগ অস্বীকার করলেন বাইডেনের ছেলে
- আপডেট সময় : ০৪:২০:৫৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ জুলাই ২০২৩
- / ১৫৭৪ বার পড়া হয়েছে
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ছেলে হান্টার বাইডেন বুধবার কর ফাঁকির অভিযোগ অস্বীকার করেছেন৷
এর আগে অবশ্য এই অভিযোগ স্বীকার করে নেওয়ার মাধ্যমে আরো মারাত্মক অভিযোগ থেকে মুক্তি পাওয়ার চুক্তি করেছিলেন তিনি৷
কর ফাঁকি ছাড়াও হান্টার বাইডেনের বিরুদ্ধে অবৈধ অস্ত্র রাখার অভিযোগ আছে৷ এই অভিযোগের শাস্তি সর্বোচ্চ ১০ বছর হতে পারে৷ আর কর ফাঁকির অভিযোগের শাস্তি সর্বোচ্চ এক বছর হতে পারে৷
২০১৭ ও ২০১৮ সালে ১.৩৫ মিলিয়ন ডলার আয়ের উপর হান্টার বাইডেন কর দেননি বলে অভিযোগ রয়েছে৷ ৫৪ বছর বয়সি বাইডেন একজন আইনজীবী ও ব্যবসায়ী৷
কর ফাঁকির অভিযোগ স্বীকার করে নেওয়ার মাধ্যমে অবৈধ অস্ত্র রাখার অভিযোগ থেকে মুক্তি পেতে চুক্তি করেছিলেন হান্টার বাইডেন৷ কিন্তু বুধবার এই চুক্তির বিষয়ে প্রশ্ন তোলেন বিচারক ম্যারিইলেন নোরাইকা৷ চুক্তিতে কর ফাঁকির মামলার সঙ্গে অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র রাখার অভিযোগের মামলা কেন রাখা হয়েছে, সেই প্রশ্ন তোলেন তিনি৷
এছাড়া এই চুক্তি কি হান্টার বাইডেনকে ভবিষ্যতে তার ব্যবসা সংক্রান্ত বিষয়ে তদন্ত থেকে যদি আরও কিছু অপরাধ বেরিয়ে আসে তাহলে সেসব থেকেও মুক্তি দিবে কিনা, সেই প্রশ্নও তোলেন বিচারক নোরাইকা৷
আইনজীবীরা এসব প্রশ্নের সন্তোষজনক ব্যাখ্যা দিতে না পারায় বিচারক জানান, তিনি দোষ স্বীকারের চুক্তি মানতে পারবেন না৷
বিচারকের এমন বক্তব্যের পর হান্টার বাইডেন কর ফাঁকির অভিযোগ অস্বীকার করেন৷
এরপর মামলার দুই পক্ষকে ৩০ দিন সময় দেন বিচারক৷
এদিকে, প্রোসিকিউটর ডেভিড ওয়াইস নিশ্চিত করেছেন যে, তার কার্যালয় হান্টার বাইডেনের অন্যান্য সম্ভাব্য অপরাধ নিয়ে তদন্ত করছে৷ বাবা জো বাইডেন ভাইস প্রেসিডেন্ট থাকার সময় চীন, ইউক্রেনের সঙ্গে হান্টার বাইডেনের ব্যবসায়িক চুক্তি নিয়ে তদন্ত হচ্ছে বলে আদালতকে জানানো হয়েছে৷
হান্টার বাইডেনের দোষ স্বীকার করে নেয়ার চুক্তিটি ২০ জুন প্রকাশ করা হয়েছিল৷ এরপর রিপাবলিকানরা হান্টার বাইডেনকে একটি ‘সুইটহার্ট ডিল’ দেয়া হচ্ছে বলে প্রোসিকিউটর ডেভিড ওয়াইসের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছিলেন৷
এদিকে হোয়াইট হাউসের প্রেস সচিব কারিন জ্য-পিয়ের বুধবার বলেন, হান্টার বাইডেন ‘‘একজন বেসরকারি ব্যক্তি৷ এটা একটা ব্যক্তিগত বিষয়৷”
ছেলের এসব আইনি সমস্যা জো বাইডেনের পুনরায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট পদে লড়াইয়ের উপর প্রভাব ফেলছে৷
ডয়চে ভেলে