কাগজে-কলমে মানুষের মন জয়ের চেষ্টা থাকবে আসন্ন বাজেটে
- আপডেট সময় : ০১:২৫:১৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ মে ২০২৩
- / ১৬০৮ বার পড়া হয়েছে
কাগজে-কলমে মানুষের মন জয়ের চেষ্টা থাকবে আসন্ন বাজেটে। সংশ্লিষ্ট খাতগুলো প্রাধান্য দিয়ে এবারও বড় বাজেট পেশ হতে চলেছে জাতীয় সংসদে। গত বছরের চেয়ে ১২ শতাংশ বাড়িয়ে যার আকার হবে ৭ লাখ ৬৪ হাজার কোটি টাকা। নির্বাচন ঘিরে ভোটার টানতেই এসব খাত প্রাধান্য দেয়া হচ্ছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। ব্যবসায়ীদের অনেক দাবির প্রতিফলনও ঘটবে বাজেটে। আবার চলমান উন্নয়ন প্রকল্পগুলো যথাসময়ে বাস্তবায়নের আশ্বাসও থাকবে। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, বাস্তবায়ন সম্ভব না হলেও জনগণের মনকাড়ার প্রবণতা থাকবে সরকারের বর্তমান মেয়াদ শেষের এই বাজেটে।
সাড়ে ৯ শতাংশের বেশি মুদ্রাস্ফীতি, করোনার আগের বছর ৮ ছুই ছুই প্রবৃদ্ধি এখন ৬ এর কাছাকাছি, জিডিপিও নিম্নমুখি। আগের বছরের ৪৮ বিলিয়ন ডলারের বিজার্ভ নেমেছে ৩০ বিলিয়নের নিচে। রপ্তানী আয় ও রেমিটেন্সের প্রবাহও কমেছে আশংকাজনকভাবে।
অর্থনীতির এই জটিল হিসেব নিকেশের মধ্যে বছর শেষে জাতীয় নির্বাচনও আরেকটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দেখা দিয়েছে সরকারের সামনে। তাই ভঙ্গুর অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের চেয়ে বাজেটে সাধারণ মানুষের মন জয় করার চেষ্টা থাকবে কাগজে কলমে।
অর্থনীতিবিদরা বলছেন, রাজনীতি থেকে সমাজনীতি, ব্যবসা, বাণিজ্য কিংবা উন্নয়ন কর্মকান্ড সবকিছুরই মুল ভিত্তি একটি দেশের মজবুত অর্থনীতি। তাই সেখানে মনোযোগ না দিয়ে সস্তা জনপ্রিয়তার দিকে হাটলে বিপর্যয় নেমে আসবে।
সট: অধ্যাপক এস.এম নসরুল কাদির, শিক্ষক, ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।
৭ লাখ ৬৪ হাজার কোটি টাকার বিশাল বাজেটে সোয়া ৪ লাখ কোটি টাকা আয়ের টার্গেট দেয়া হয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে। যা বাস্তবায়নে আদায়যোগ্য সব খাতের ওপরই খড়গহস্ত হতে হবে প্রতিষ্ঠানটিকে। কিন্তু বৈশ্বিক মন্দা মোকাবিলায় সেই খাতগুলো থেকেও আছে চাপ কমানোর তাগিদ।
চলতি অর্থবছরের শেষ ১১ মাসে অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনায় মুনশিয়ানার ধারে কাছেও যেতে পারেনি সরকার। বরং ডলার সংকটের অজুহাতে আমদানী কমানোয় স্থবিরতা নেমেছে প্রবৃদ্ধিতে। তাই আসছে বছরে বরাদ্দ বন্টনে দক্ষতার পরিচয় না দিলে ফিকে হয়ে যাবে উন্নয়নের স্বপ্ন।