কালাম আওয়ামী আমলে এমপি হয়ে পেয়ে যান আলাদীনের চেরাগ
- আপডেট সময় : ১১:২৩:৪২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪
- / ১৭৩০ বার পড়া হয়েছে
রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার তাহেরপুর পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ। এক সময় যার চাল-তেল কেনারও পয়সা ছিল না।সেই কালাম আওয়ামী আমলের ভোটারবিহীন নির্বাচনে দু’দফা পৌর মেয়র ও পরে এমপি হয়ে পেয়েছিলেন আলাদীনের চেরাগ। ক্ষমতার দাপটে রাতারাতি শত শত বিঘা জমি ও পুকুরের মালিক বনে যান। গড়ে তোলেন অঢেল সম্পদ।
বাগমারার জামগ্রামে মাটির ভাঙাচোরা এই বাড়িটি সাবেক এমপি আবুল কালাম আজাদের। ২০১১ সালে তাহেরপুর পৌরসভার মেয়র পদে নির্বাচন করেছিলেন এই বাড়ি থেকে। পৌর মেয়র হয়েই নির্মাণ করেন কয়েক বিঘা জমির ওপর এই আলিশান বাড়ি। কয়েক বছরেই মালিক হন অঢেল সম্পদের। দু’হাতে কামিয়েছেন শুধু টাকা আর টাকা। রাতারাতি তার এমন উত্থানে বিস্ময়ের ঘোর যেন কাটছেই না এলাকাবাসীর। (ফুটেজ-১)
পৌর ভবনে বসেই তিনি মেতেছিলেন চাঁদাবাজি আর দখলদারিতে। মেয়র থাকাকালে তাহেরপুরে ব্যবসায়ীদের উচ্ছেদ করে পৌরসভার নামে অন্তত ৬টি মাকের্ট নির্মাণ করে নিজের দখলে নিয়েছিলেন আবুল কালাম। দোকান বরাদ্দ দেয়ার নামে ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে নেয়া শত কোটি টাকাও ভরেছেন নিজের পকেটে। সেলামীর টাকা নিয়েও দোকান দেননি অনেককেই।
গোটা এলাকায় কালাম কায়েম করেছিলেন ত্রাসের রাজস্ব। অন্যের জমিতে জোর করে শতশত বিঘার পুকুর কেটে মাছের খামার করেন তিনি। প্রকাশ্যেই ঘুরতেন পিস্তুল নিয়ে। কথায় কথায় হুমকি দিতেন গুলি করারও। এমন কি বাদীকে হত্যার হুমকি দিয়ে একটি হত্যা মামলায় আসামীর তালিকা থেকে নিজের নামও বাদ দিতে বাধ্য করেন তিনি। (ফুটেজ-৩)
আওয়ামী লীগ নেতা কালামের থাবা থেকে রেহাই পান নি সংখ্যালঘুরাও।
এদিকে গর্ভনিং বডির সভাপতি থাককালে তাহেরপুর ডিগ্রি কলেজের জমিতেও আবুল কালাম বসিয়েছেন থাবা। কলেজের জমি নিজের নামে করে নিয়ে সেখানে নির্মাণ করেছেন এই ভবন। ব্যাংক থেকে তুলে নিয়েছেন শিক্ষকদের ফান্ডের পুরো টাকাও।
তবে গেল ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের দিনই আবুল কালাম আজাদও সপরিবারে বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছেন। দু’ দফা তাহেরপুর পৌরসভার মেয়র ছিলেন তিনি। সবশেষ চলতি বছর এমপি নির্বাচিত হন কালাম।