কাস্টমসের কাছে বন্দরের পাওনা দেড়শ’ কোটি টাকা
- আপডেট সময় : ১১:৩৬:৫৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ জানুয়ারী ২০২৪
- / ১৬৮৫ বার পড়া হয়েছে
১২ বছর ধরে অকশন শেডের ভাড়া ও বন্দর ব্যবহারের মাশুল পরিশোধ করছে না চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজ। সবমিলিয়ে কাস্টমসের কাছে বন্দরের পাওনা জমেছে দেড়শো কোটি টাকা। বিষয়টি নিয়ে দুটি প্রতিষ্ঠানের টানাপোড়েন শুরু হয়েছে। বন্দর বলছে, ভাড়া পরিশোধে বার বার তাগিদ দিয়েও সাড়া মিলছে না। আর কাস্টমস বলছে, ভাড়া পরিশোধের নজির না থাকায়, বিষয়টি নিশ্পত্তির জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।
নির্ধারিত সময়ে মধ্যে খালাস করতে না পারা পণ্যের পাশাপাশি বিভিন্ন জটিলতায় আটকে পড়া এলসিএল পণ্য ও কন্টেইনার কাস্টমসের কাছে হস্তান্তর করে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। আইনগত জটিলতা নিরসনের পর তা খালাস অথবা নিলাম করে কাস্টমস। নিয়মানুযায়ী নিলামকৃত মুল্যের ২০ শতাংশ ভাড়া হিসেবে বন্দরকে পরিশোধ করার কথা। ফুটেজ-১ ও ফুটেজ-২
কিন্তু ২০১২ সালে পর আর এই ভাড়া পরিশোধ করেনি চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজ। ফুটেজ-২ ধীরে ধীরে কাস্টমসের কাছে বন্দরের বকেয়া টাকার পরিমাণ জমেছে দেড়শো কোটির কাছাকাছি। যা পরিশোধে তৎপরতা শুরু করেছে বন্দর।
আর কাস্টমস বলছে, ভাড়া পরিশোধের বিষয়টি নিয়ে আইনে অস্পষ্টতা রয়েছে। এছাড়া বন্দরের পক্ষ থেকে আগে তাগাদা না দেয়ায়, জটিলতা তৈরী হয়েছে। সবশেষ বিষয়টি নিয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের মতামত চাওয়া হয়েছে।
বকেয়া টাকা পরিশোধ নিয়ে জটিলতা তৈরী হলেও এখন থেকে প্রতিটি নিলামে অর্জিত রাজস্ব থেকে বন্দরের পাওনা পরিশোধের উদ্যোগ নিয়েছে চট্টগ্রাম কাস্টমস।