কৃষি যান্ত্রিকীকরণে কৃষকদের উৎসাহিত করতে কিশোরগঞ্জের হাওরাঞ্চলে সমলয় পদ্ধতিতে বোরো ধানের আবাদ হচ্ছে। যন্ত্রের মাধ্যমে কম সময়ে, কম শ্রমিকে এবং কম খরচে খুব সহজে বোরো চাষ করতে পেরে খুশি কৃষক। আগামী কয়েক বছরে পুরো হাওরাঞ্চল কৃষি যান্ত্রিকীকরনের আওতায় চলে আসবে, এমনটিই আশা করছে কৃষি বিভাগ।

সাজানো গোছানো সারি সারি বোরো ধানের বীজতলা। প্লাস্টিকের ট্রেতে বীজধান বপন করে তৈরি এই বীজতলা। সনাতন পদ্ধতি থেকে হাওরাঞ্চলের বোরো চাষকে আধুনিক কৃষিতে রূপান্তরিত করতে কৃষিযন্ত্রের মাধ্যমে বীজতলা তৈরি, রোপন ও ধান কাটায় উৎসাহ দিচ্ছে কৃষি বিভাগ।

চলতি বছর জেলার মিঠামইন হাওরে ১৫০ একর জমিতে একই জাতের বোরো ধান, একই সময়ে আবাদ করতে কৃষকদের প্রনোদণা দিয়েছে সরকার। চলছে যন্ত্রের সাহায্যে ধানের চারা রোপন। কৃষকরা একসাথে, বপন, রোপন ও কাটবেন ধান। তাই এর নামকরণ হয়েছে সমলয় চাষ। আধুনিক
কৃষিযন্ত্রের ছোঁয়ায় হাওরের একমাত্র ফসল খুব সহজে ঘরে তোলার স্বপ্নে বিভোর কৃষকেরা।

সার্বক্ষণিক কৃষকের পাশে থেকে সবরকম পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছে কৃষি বিভাগ।

কৃষি যান্ত্রিকীকরনের সুফল পেয়ে হাওরাঞ্চলের কৃষকদের আগ্রহ আরও বাড়ছে বলে জানান জেলা কৃষি কর্মকর্তা।
যান্ত্রিকীকরনের মাধ্যমে সমলয় পদ্ধতিতে হাওরে হাইব্রিড ধানের আবাদ হচ্ছে। যা রোপনের ১৩০ থেকে ১৩৫ দিনে কাটা করা যায়।