কুকি-চিনের ‘প্রধান সমন্বয়ক’ গ্রেপ্তার
- আপডেট সময় : ০৯:১৬:১৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ৭ এপ্রিল ২০২৪
- / ১৯১০ বার পড়া হয়েছে
পার্বত্য চট্টগ্রামে বান্দরবানে বিশেষ অভিযান চালিয়ে পাহাড়ি সশস্ত্র গোষ্ঠী কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের-কেএনএফ ‘প্রধান সমন্বয়ক’ চেওসিম বমকে (৫৫) গ্রেফতার করেছে র্যাব-১৫। শনিবার রাতে সদর উপজেলার সুয়ালক ইউনিয়নের শ্যারনপাড়ার বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
রবিবার (০৭ এপ্রিল) বিকাল সাড়ে ৩টায় বান্দরবান জেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন র্যাব-১৫-এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এইচ এম সাজ্জাদ। গ্রেফতার চেওসিম বম শ্যারনপাড়ার মৃত বোয়াল খুব বমের ছেলে। তার বাড়ি থেকে দুটি বন্দুক উদ্ধার করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে লেফটেন্যান্ট কর্নেল এইচ এম সাজ্জাদ বলেন, ‘গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে চেওসিম বমের বাড়ি ঘেরাওয়ের পর ভেতরে প্রবেশ করে র্যাব। কিন্তু কাউকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। একপর্যায়ে ঘরের স্টিলের আলমারির ভেতর থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। আলমারিতে লুকিয়ে ছিলেন। তার কাছ থেকে দুটি বন্দুক উদ্ধার করা হয়েছে। চেওসিম বম কেএনএফের কেন্দ্রীয় কমিটির অন্যতম প্রধান সমন্বয়ক।’
কেএনএফ প্রধান নাথান বমের সঙ্গে চেওসিম বমের আত্মীয়তার সম্পর্ক রয়েছে জানিয়ে এইচ এম সাজ্জাদ বলেন, ‘বান্দরবানে কেএনএফের সশস্ত্র হামলা ও ব্যাংক লুটের বিষয়ে আমরা চেওসিমকে জিজ্ঞাসাবাদ করবো। একইসঙ্গে কেএনএফ প্রধান নাথান বম কোথায় আছে, তাও জানার চেষ্টা করবো। কারা হামলা করেছে, কাদের সহযোগিতা ছিল—তাও জিজ্ঞাসাবাদ করবো। পাশাপাশি তার সহযোগীদের অবস্থান ও পরিকল্পনা সম্পর্কে জানার চেষ্টা করবো।’
চেওসিম বম বান্দরবান জেলায় প্রথম কেএনএফের কমিটি গঠন করেছিলেন উল্লেখ করে এইচএম সাজ্জাদ আরও বলেন, ‘জঙ্গি সংগঠন জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়ার নেতা শামীম মাহফুজ এবং নাথান বমের সঙ্গে অর্থের বিনিময়ে দুই সংগঠনের সদস্যদের প্রশিক্ষণের চুক্তি নিজ বাড়িতে বসে করেছিলেন চেওসিম। এখনও নাথান বমের সঙ্গে তার যোগাযোগ হয় বলে আমাদের কাছে তথ্য আছে।’
এখনও থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে ওই এলাকায়। আতঙ্কে অনেক পর্যটক বান্দরবান ছেড়েছেন।
ওই ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মোট ১৪টি অস্ত্র লুট হয়েছিল। তবে গত বুধবার যে অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে সেগুলো একই অস্ত্র কি না, সেটি এখনও নিশ্চিত করা হয়নি বাহিনীর পক্ষ থেকে।
ব্যাংকে হামলা ও লুটপাটের ঘটনায় রুমা ও থানচি-সহ আশেপাশের এলাকায় আতঙ্কে অনেকে বাড়িঘর ছেড়ে গেছে বলে এলাকার বাসিন্দারা জানিয়েছেন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কড়াকড়ির কারণে নিজ এলাকায় চলাচলেও হয়রানির মুখে পড়তে হচ্ছে বলেও জানান স্থানীয়রা।
পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে এলাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর টহল বাড়ানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।