কুড়িগ্রামের বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি
- আপডেট সময় : ১২:৫৮:৪২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২ সেপ্টেম্বর ২০২৩
- / ১৬৪৯ বার পড়া হয়েছে
কুড়িগ্রামের বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি। এদিকে টানা বর্ষণ আর উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে জামালপুরে নদ নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় যমুনা নদীর পানি বাহাদুরাবাদ ঘাট পয়েন্টে ৫ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ২৯ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
কুড়িগ্রামের উজানে ভারী বৃষ্টিপাত কমে যাওয়ায় তিস্তা ধরলা ও দুধকুমার নদীর পানি কমতে শুরু করেছে। তবে ব্রহ্মপুত্র নদের পানি এখনও বিপদসীমার সামান্য নীচে থাকায় ব্রহ্মপুত্র অববাহিকার চর দ্বীপচর ও নীচু এলাকাগুলোর ঘরবাড়ী ও উঠানে এখনও পানি জমে আছে। এছাড়া এসব এলাকার রাস্তাঘাট তলিয়ে ভেঙ্গে পড়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থা। ঢল আর ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে জেলার প্রায় সাড়ে পাচ হাজার হেক্টর জমির আমন ধানক্ষেত তলিয়ে গেছে। এছাড়া ৫শ হেক্টর জমির বিভিন্ন প্রকার সবজি ক্ষেতও তলিয়ে গেছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায় তিস্তা ধরলা ও দুধকুমার নদীর পানি কমছে তবে ব্রহ্মপুত্র নদের ভাটিতে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় পানি নেমে যেতে কিছুটা সময় লাগতে পারে।
উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে জামালপুরে যমুনা, ব্রহ্মপুত্র, ঝিনাই, জিঞ্জিরামসহ জেলার সকল শাখা নদীগুলোর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। সেই সাথে পানি বাড়ার কারণে ইসলামপুর উপজেলার চিনাডুলি, প্রাথর্শী, সাপধরী, মেলান্দহ উপজেলার মাহমুদপুর এবং দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার চিকাজানি ইউনিয়নের নদী তীরবর্তী এলাকায় নিন্মাঞ্চলে পানি প্রবেশ করে বন্যা প্লাবিত হয়েছে। এতে করে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে অন্তত ৪০ হাজার মানুষ। এছাড়াও রোপা-আমনসহ বিস্তীর্ণ ফসলের মাঠ ও লোকালয়ে বন্যার পানি প্রবেশ করায় ডুবে গেছে কাঁচাপাকা সড়কসহ বেশি কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থতি আরো কিছুটা অবনতি হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় যমুনা নদীর পানি সিরাজগঞ্জ শহর রক্ষা বাঁধ পয়েন্টে ৮ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে যা বর্তমানে বিপৎসীমার ১৮ সেন্টিমিটার এবং কাজিপুর পয়েন্টে ৮ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ১১ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে । এদিকে পানি বৃদ্ধির কারণে যমুনা নদী তীরবর্তি চৌহালী ও শাহজাদপুরে ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে।