কুষ্টিয়ায় অধিকাংশ বেসরকারী ক্লিনিক ও ডায়াগনষ্টিক সেন্টার অমানবিক বাণিজ্যে তৎপর
- আপডেট সময় : ০৫:৫২:২৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২০
- / ১৫২২ বার পড়া হয়েছে
কুষ্টিয়ায় বেসরকারী ক্লিনিক ও ডায়াগনষ্টিক সেন্টারের বিরুদ্ধে অহেতুক পরীক্ষা-নীরিক্ষা ও অপচিকিৎসার অভিযোগ উঠেছে। অনভিজ্ঞ চিকিৎসকের হাতে পড়ে এসব ক্লিনিকে ভুল চিকিৎসায় মারা যাচ্ছে প্রসূতি মা, শিশুসহ বিভিন্ন বয়সী মানুষ। দুর্ঘটনা ঘটলে জেল-জরিমানা করছে ভ্রাম্যমান আদালত। স্বাস্থ্য বিভাগ এদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না নেয়ায় অমানবিক বাণিজ্যে তৎপর কুষ্টিয়ার অধিকাংশ ক্লিনিক ও ডায়াগনষ্টিক সেন্টারগুলো।
কুষ্টিয়ায় অনুমোদিত ক্লিনিক ৯৭টি আর ডায়াগণষ্টিক সেন্টার এক’শ ৩৭টি। কিন্তু, অলি-গলিতে ক্লিনিক ও ডায়াগণষ্টিক সেন্টারের সংখ্যা এখন হাজার ছাঁড়িয়েছে। বাইরে চকচকে সাইনবোর্ড থাকলেও ভেতরে চিকিৎসক খুঁজে পাওয়া যায় না। রোগী পেলেই ধরিয়ে দেয়া হয় পরীক্ষা-নীরিক্ষার কাগজ-পত্র। এদের কাছে প্রতিনিয়ত প্রতারিত হচ্ছে চিকিৎসা নিতে আসা শত শত রোগী।
ক্লিনিকগুলোতে বিখ্যাত চিকিৎসকের সাইনবোর্ড থাকলেও, অপারেশন করেন অনভিজ্ঞরা। শহরের কাষ্টমস্ মোড়ের এই ক্লিনিকে এক দালালের মাধ্যমে কুমারখালীর অন্তঃস্বত্বা গৃহবধু শাপলা খাতুনকে ভর্তি করা হয়। অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে তার সন্তান প্রসব করানো হয়। প্রসূতিকে ভুল গ্রুপের রক্ত দেয়ায় সে মারা যায় বলে অভিযোগ করেন তার পরিবার।
ক্লিনিক কর্তৃপক্ষের ভুল চিকিৎসা করলেও তদন্ত ছাড়া কিছু বলা যাচ্ছে না বলে জানান, উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা।
ক্লিনিকটি সিলাগলা করার পাশাপাশি মালিককে আটক করা হয়েছে বলে জানান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।
অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান, সিভিল সার্জন।
গত তিন মাসে কুষ্টিয়ার এসব ক্লিনিকে ভুল চিকিৎসায় অন্তত ১০ গৃহবধুসহ বেশ কয়েকজন রোগী মারা গেছেন। এদের বিরুদ্ধে কার্যকর পদক্ষেপ ও আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের নেয়ার দাবি জানিয়েছেন সচেতন মহল।