কুড়িগ্রামের চরাঞ্চলের মানুষের কাছে বন্যার অপর না অভিশাপ
- আপডেট সময় : ০৭:২১:৫২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ জুন ২০২১
- / ১৫১৮ বার পড়া হয়েছে
কুড়িগ্রামের চরাঞ্চলের মানুষের কাছে বন্যার অপর না অভিশাপ। কেন না প্রতিবছর বন্যা শুরু হলেই ৩ থেকে ৪ মাস পর্যন্ত অবর্ণনীয় কষ্টে দিন-রাত পার করতে হয় তাদের। থাকে না শোবার জায়গা, রান্নার খড়ি এবং মজুদ খাবারও। এ অবস্থায় উঁচু বাঁধ অথবা নৌকায় খেয়ে না খেয়ে দিন পার করতে হয় তাদের।
বর্ষা মৌসুমে ভারতের উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢল ও অতি বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে যায় কুড়িগ্রামের ৪ শতাধিক চরের লক্ষাধিক পরিবারের বসত বাড়ি। ফলে প্রতি বছর ৪ থেকে ৫ দফা বন্যায় জেলার ব্রহ্মপুত্র, ধরলা, তিস্তা ও দুধকুমরসহ নদ-নদীর অববাহিকার মানুষ পরিবার পরিজন ও গবাদিপশুসহ আশ্রয় নেয় উঁচু বাঁধ ও পাকা সড়কে। আবার কেউ কেউ নিকটবর্তী শুকনো জায়গা না পেয়ে আশ্রয় নেয় ঘরের চাল অথবা নৌকায়।
অতি বন্যা ও খড়ায় চরাঞ্চলগুলোর ফসল নষ্ট হওয়ায় এখানকার মানুষের বেঁচে থাকার একমাত্র অবলম্বন গবাদি পশু পালন। কিন্তু বন্যা আসলেই নিজেদের খাবারের পাশাপাশি গরু, ছাগলসহ অন্যান্য গবাদি পশুর খাদ্য সংকট নিয়ে পড়তে হয় চরম বিপাকে।
বন্যার এ সময়টাতে পুরো চরাঞ্চলগুলো নিমজ্জিত থাকায় হাতে কোন কাজ থাকে না এখানকার মানুষের। অন্যদিকে সমন্বয়হীনতায় সরকারী বেসরকারী খাদ্য সহায়তাও মেলে না সবার ভাগ্যে।
আসন্ন বন্যা মোকাবেলায় বন্যার্তদের নিরাপদ জায়গায় আশ্রয় দেয়া ও খাদ্য সহায়তাসহ চরাঞ্চলের মানুষকে নিয়ে সরকারী পরিকল্পনার কথা জানালেন জেলার এই কর্মকর্তা।
নদ-নদীর ভাঙ্গন স্থায়ীভাবে রোধ করে সরকারী, বেসরকারী প্রকল্পের মাধ্যমে চরবাসীদের বাড়ি-ভিটা উঁচু করা গেলে বন্যার সমস্যা অনেকটাই কমে আসবে বলে মনে করেন চরের বাসিন্দারা।