কুড়িগ্রামের রৌমারীতে পানিবন্দী ৪০ হাজার মানুষ
- আপডেট সময় : ০২:৩৪:০০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ জুন ২০২২
- / ১৫৮৬ বার পড়া হয়েছে
সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে যমুনা নদীতে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছ। সেই সঙ্গে বাড়ছে অভ্যন্তরীণ নদ-নদীর পানি। ইতোমধ্যে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হচ্ছে।
সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে যমুনার পানি বৃদ্ধি রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ৭২ মিটার। ২৪ ঘণ্টায় ১৫ সেন্টিমিটার বেড়ে তা বিপৎসীমার ১ দশমিক ৬৩ মিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। গেল ৬ দিনে যমুনায় ধারাবাহিকভাবে পানি বৃদ্ধির সঙ্গে বাড়ছে ফুলজোড়, করোতায়া, বড়াল ও ইছামতিসহ অভ্যন্তরীণ নদ-নদীর পানিও। চলনবিল অধ্যুষিত তাড়াশের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হচ্ছে।
কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি হয়েছে। গেল ৩ দিন ধরে পানি বন্দি জীবন-যাপন করছে উপজেলার রৌমারী, শৌলমারী, দাঁতভাঙ্গা ও যাদুর চর ইউনিয়নের প্রায় ৪০ হাজার মানুষ। কাঁচা-পাকা সড়ক তলিয়ে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থা। ঘর-বাড়ির পানি স্থায়ী হওয়ায় শুকনো খাবারের সংকটে রয়েছে অনেক পরিবার।
এদিকে, টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলের দ্বিতীয় দফায় সুনামগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে। সুরমা নদীর পানি বেড়ে জেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হচ্ছে। বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পানি ঢুকে পড়ায় বিদ্যালয়গুলো বন্ধ করে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। পানিতে সড়ক তলিয়ে যাওয়ায় জেলা সদরের সঙ্গে ছাতক, দোয়ারাবাজার, তাহিরপুর, বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার সরাসরি সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। সকালের দিকে সুরমা নদীর পানি বিপদসীমার ১১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিলো।