কৃত্রিম সংকটের বাহানায় বেশি দামে নতুন করে সার আমদানি করছে বিসিআইসি
- আপডেট সময় : ০১:৪৯:৫৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২২
- / ১৫৭৩ বার পড়া হয়েছে
বেশি দামে নতুন করে সার আমদানি করছে রাষ্ট্রয়াত্ত্ব প্রতিষ্ঠান বিসিআইসি। এরজন্য কৃত্রিমম সংকট তৈরী ও কমিশন নিচ্ছে সংস্থাটি। দুই বছর ধরে আমদানী করা বিপুল পরিমাণ সার ফেলে রাখায় তা নষ্ট হচ্ছে।
আমদানির সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বারবার তাগাদা, এমনকি আদালতের নির্দেশনা নিয়েও বিসিআইসিকে সার ব্যবহারে রাজি করানো যায়নি। বিশ্লেষকরা বলছেন, কমিশন ভাগ বাটোয়ারাই সারের মতো স্পর্শকাতর পণ্য নিয়ে কারসাজি করছে বিসিআইসি।
বাঘাবাড়ি, নগরবাড়ি, নওয়াপাড়া, খুলনাসহ দেশের বিভিন্ন ট্রানজিট পয়েন্টে খোলা আকাশের নিচে এভাবেই নষ্ট হচ্ছে বিপুল পরিমান ইউরিয়া সার। ২০১৯ ও ২০২০ সালে কাতার, রুবাইস ও সৌদি আরব থেকে জি-টু-জি পদ্ধতিতে প্রতিটন মাত্র ২৮৪ ডলার দামে ৩ লাখ ৪৪ হাজার মেট্রিক টন সার আমদানী করে রাষ্ট্রয়াত্ব বিসিআইসি। ওই লডের ২ লাখ ৮০ হাজার মেট্রিক টন সার গ্রহণ করলেও বাকিটা পড়ে আছে দু’বছর।
আমদানি থেকে দেশের বিভিন্ন এলাকার গুদামে ই সার পৌছে দেয়ার দায়িত্বে ছিলো চট্টগ্রামের নবাব এন্ড কোম্পনী। তাদের দাবি, ওই লডের পর থেকে প্রতি টন সার ৭৭৯ ডলারে কিনছে বিসিআইসি। কমিশনের বিপুল পরিমান টাকা ভাগ বাটোয়ারার কারনেই কম দামে কেনা সার নষ্ট করছে রাষ্ট্রয়াত্ম প্রতিষ্ঠানটি।
খোলা আকাশের নিচে থাকায় ২২ থেকে ২৫ শতাংশ সার নষ্ট হয়ে গেছে। পাশাপাশি ঘটছে পরিবেশের বিপর্যয়।
তবে এ ব্যাপারে কথা বলতে নারাজ বিসিআইসির কর্মকর্তারা।
বিশ্লেষকরা বলছেন, নিয়ন্ত্রক প্রতিষ্ঠানের এমন দায়িত্বহীনতা আর দুর্নীতির কারনেই কৃষির গুরুত্বপূর্ণ পণ্যটি নিয়ে কারসাজি থামানো যাচ্ছে না।
গেলো ১০ বছরে অন্তত ৩০০ গুণ বেড়েছে সারের দাম। চলতি রোপা-আমন মৌসুমেও বিভিন্ন এলাকায় সারের তীব্র সংকট চলছে। অথচ বিপুল পরিমান সার ট্রানজিট পয়েন্টে ফেলে রেখে নষ্ট করা হচ্ছে।