কৃষকের ধান কেটে দিচ্ছে রাজনৈতিক কর্মী ও পুলিশ
- আপডেট সময় : ০৮:১৪:২০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ এপ্রিল ২০২০
- / ১৫৫৬ বার পড়া হয়েছে
যশোর, সাতক্ষীরা ও নোয়াখালীতে কৃষকের ধান কেটে দিচ্ছে স্বেচ্ছাসেবক লীগ, যুবলীগ ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। পাশাপাশি কৃষকের পাশে থেকে করোনা যুদ্ধে কৃষকদের ফসল রক্ষায় এমন উদ্যোগ অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছে তারা। অন্যদিকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে হাওড় অঞ্চলে ধানকাটার জন্য শ্রমিক পাঠিয়েছে গাইবান্ধা ও কুমিল্লা জেলা পুলিশ।
যশোরে করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের পাশে দাঁড়িয়েছে স্বেচ্ছাসেবক লীগ। সকালে সংগঠনটির ৩০ সদস্য শহরতলীর হরিনার বিলে এক কৃষকের ৩ বিঘা জমির ধান কাটার মধ্য দিয়ে তাদের এ স্বেচ্ছাশ্রমের কাজ শুরু করেছেন। সংগঠনের নেতারা জানান, করোনায় বিপদগ্রস্ত কৃষকদের স্বার্থে তাদের এ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
সাতক্ষীরায় চাষীদের মাঠ থেকে ধান কেটে বাড়ি তুলে দেয়া শুরু করেছে জেলা যুবলীগের শতাধিক নেতাকর্মী। সকালে শহরের আলিপুরের কৃষক সুবহান গাজীর ১২ বিঘা জমির ধান কেটে বাড়িতে পৌঁছে দেয় তারা।
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের প্রতিটি ইউনিয়নে অসহায় কৃষকদের ধান কেটে ঘরে তুলে দেয়ার কাজ উদ্বোধন করেছেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় দপ্তর উপ-কমিটির সহ-সম্পাদক ইস্কেন্দার মির্জা শামীম। সকালে তার নেতৃত্বে উপজেলার চরএলাহী গ্রামের কৃষক সুলতান মিয়ার ১২০ শতাংশ জমির ধান কেটে বাড়িতে পৌঁছে দেয়া হয়।
চলতি বোরো মৌসুমে নাটোরের সিংড়া ও চলন বিলসহ হাওর এলাকায় কৃষি শ্রমিকের সংকট নিরসনে স্বাস্থ্যবিধি মেনে গাইবান্ধা জেলা পুলিশ, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ও বেসরকারী সংস্থা- গণ উন্নয়ন কেন্দ্রের যৌথ উদ্যোগে বিশেষ ব্যবস্থায় ১৪০ জন কৃষি শ্রমিককে ধানকাটার জন্য পাঠানো হয়েছে। দুপুরে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন পুলিশ সুপার তৌহিদুল ইসলাম।
রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জের বরেন্দ্র এলাকায় ধান কাটার জন্য কুমিল্লা অঞ্চলে আটকেপড়া শ্রমিকদের বাস ভাড়া করে পাঠিয়েছেন কুমিল্লার পুলিশ সুপার সৈয়দ নুরুল ইসলাম। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে জেলা পুলিশের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ৪৩ জন কৃষিশ্রমিককে নগরীর শাসনগাছা থেকে বরেন্দ্র এলাকায় পাঠানো হয়। এসময় তাদেরকে করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সতর্ক থাকার নির্দেশনা দেয়া হয়।