কৃষি খাতে প্রধানমন্ত্রীর প্রণোদনার ঘোষণায় স্বস্তি ফিরেছে কৃষকদের মাঝে
- আপডেট সময় : ০২:১২:০৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ এপ্রিল ২০২০
- / ১৬৩১ বার পড়া হয়েছে
করোনার প্রাদুর্ভাবে দেশের কৃষি অর্থনীতি যখন হুমকির মুখে, ঠিক তখনি কৃষি খাতে প্রধানমন্ত্রীর প্রণোদনার ঘোষণায় স্বস্তি ফিরেছে কৃষকদের মাঝে। তবে প্রণোদনা প্রাপ্তিতে শংকার কথা উল্লেখ করে কৃষকরা জানিয়েছেন, কোনভাবেই যেন প্রকৃত কৃষকরা উপেক্ষিত না হন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সমন্বিত পরিকল্পনা গ্রহণের মধ্য দিয়ে স্বচ্ছতার সাথে এই কৃষি প্রণোদনা দেয়া হলে উৎপাদন বাড়াতে পারবে উপকারভোগী প্রান্তিক কৃষকরা। যা খাদ্য নিরাপত্তায় ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে।
দেশের খাদ্যভান্ডার হিসেবে পরিচিত উত্তরের জেলা- রংপুর। স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে এখান থেকেই সারাদেশের খাদ্য-চাহিদার একটি উল্লেখযোগ্য অংশ যায় বিভিন্ন অঞ্চলে। বর্তমান করোনা ঝুঁকিতেও থেমে নেই উত্তরের কৃষকরা। নিজেদের রুটি-রুজির প্রয়োজন ছাড়াও জমিতে নতুন ফসল ফলাতে ব্যস্ত সবাই। কারণ মৌসুম ফুরিয়ে গেলে এক বছরের জন্য পিছিয়ে পড়ে ব্যাপক লোকসানের মুখোমুখি হবেন তারা। আবার অনেকেই মাঠে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন আগের ফসল পরিচর্যায়।
এদিকে, মাসখানেকের মধ্যেই কৃষকদের ঘরে উঠবে বোরো ধান। তাই কৃষকরা এখন শংকিত, উৎপাদিত পণ্যের বাজারজাত করা ও ন্যায্য মূল্য প্রাপ্তি নিয়ে। এমন পরিস্থিতিতে কৃষকদের জন্য সরকার-প্রধানের প্রণোদনার ঘোষণায় তারা খুশি হলেও ঋণপ্রদানের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতার দাবী তাদের। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রকৃত কৃষকরা সরাসরি প্রণোদনার সুবিধা না পেলে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে কৃষি অর্থনীতিতে। দেশের খাদ্য উৎপাদনের মূল চালিকা শক্তি- প্রান্তিক কৃষকরা যেনো সরকারের প্রণোদনা থেকে কোনোভাবে বঞ্চিত না হয়, সেদিকে নজরদারীর দাবী বিশেষজ্ঞদের।