কৃষি-ফসলে ক্ষতির শিকার হলেও বসে নেই কুড়িগ্রামের চাষীরা
- আপডেট সময় : ১১:১৭:৪০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ মে ২০২০
- / ১৫৬৪ বার পড়া হয়েছে
করোনা পরিস্থিতিতে কৃষি-ফসলে ক্ষতির শিকার হলেও বসে নেই কুড়িগ্রামের চাষীরা। সুদিনের আশায় জমিতে চাষাবাদ অব্যাহত রেখেছেন তারা। এদিকে, গোপালগঞ্জে বোরো ধানের বাম্পার ফলন হলেও শ্রমিক সংকটে ধান কাটতে পারছে না কৃষক। সেই সাথে বৃষ্টিতে জমিতেই ধান নষ্ট হওয়ার আশঙ্কায় দিন কাটছে তাদের। তবে, ধান কাটার ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে কৃষি বিভাগ।
চলতি মৌসুমে কুড়িগ্রামে এক লাখ ১৫ হাজার এক’শ ১০ হেক্টর জমিতে বোরো এবং ছ’হাজার আট’শ ৬১ হেক্টর জমিতে সবজির চাষ হয়েছে। করোনা পরিস্থিতিতে সবকিছু স্থবির হয়ে পড়ায় কৃষকরা এ বছর সবজির ভালো দাম পায়নি। এদিকে, পুরোদমে বোরো কাটা এবং মারাই শুরু হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে ধানের দাম নিয়েও শঙ্কায় রয়েছে তারা।
ফসল তোলার পর ব্যবহারযোগ্য সব জমিতে আবারও চাষের লক্ষে কাজ করছে জেলার কৃষকরা। এ ক্ষেত্রে কৃষি বিভাগের সহযোগিতা চেয়েছে তারা।
কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, কৃষির মাধ্যমে দেশের খাদ্য ঘাটতি মেটানোর পাশাপাশি, অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে ভর্তুকি দিয়ে মাঠ পর্যায়ে কৃষকদের দেয়া হচ্ছে কম্বাইন্ড হারভেস্টার মেশিনসহ বিভিন্ন কৃষি উপকরণ।
সরকারের নানা কর্মসূচির মাধ্যমে কৃষকদের বাঁচানো গেলে, বেঁচে যাবে দেশের অর্থনীতি — এমনটাই মনে করছে এ অঞ্চলের মানুষ।
এদিকে, করোনার কারনে গোপালগঞ্জে অন্য জেলা থেকে ধান কাটতে শ্রমিক আসতে পারছেনা। গত কয়েক দিনের বৃষ্টিতে গাছ নুয়ে পড়ায় জমিতেই ধান নষ্ট হওয়ার অশংকায় দিন কাটছে কৃষকের।.
কোথাও কোথাও ছাত্রলীগসহ বিভিন্ন সংগঠন ধান কেটে মাড়াই করে ঘরে তুলে দিয়েছে। কিন্তু, প্রয়োজনের তুলনায় তা সামান্য। এছাড়া, দাম নিয়ে সংশয়ে রয়েছে কৃষক। মন প্রতি ছ’শ থেকে সাড়ে ছ’শ টাকায় বিক্রি হওয়ায় লোকসানের মুখে পড়েছে তারা। ন্যায্য মুল্য ঠিক করে দেয়ার দাবি তাদের।
ধান কাটার শ্রমিক আনার সব ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলে জানান, এই কৃষি কর্মকর্তা।
এ বছর গোপালগঞ্জে ৭৬ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ হয়েছে।