কৃষি শ্রমিক সংকটে ধানকাটা নিয়ে বিপাকে মৌলভীবাজারের কৃষক
- আপডেট সময় : ০৮:২৪:৩৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২ মে ২০২১
- / ১৫৩৩ বার পড়া হয়েছে
মৌলভীবাজারে ধানের বাম্পার ফলন হলেও, কৃষি শ্রমিক সংকটে ধানকাটা নিয়ে বিপাকে পড়েছে কৃষক। তবে, প্রয়োজনে চা শ্রমিকদেরও ধান কাটার কাজে লাগানো হবে বলে জানিয়েছেন, জেলা প্রশাসক। এদিকে, সুনামগঞ্জের হাওরে বোরো ধান কাটা শুরু হয়েছে। উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে আশাবাদী কৃষি বিভাগ।
মৌলভীবাজারে এবার বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। এই ধান কাটতে প্রতিবছর প্রায় ৫০ হাজার শ্রমিক প্রয়োজন হয়। কিন্তু, এ বছর লকডাউন থাকায় অন্য জেলা থেকে কৃষি শ্রমিক আসতে পারেনি। ভারি বৃষ্টি ও আগাম বন্যার আশংকায় ধান নিয়ে অনিশ্চয়তা ও উৎকণ্ঠায় পড়েছে কৃষক।
চা বাগানের শ্রমিকদের ধান কাটার কাজে লাগানো হবে। এছাড়া, ১৫১টি রিপার ও ৫৪টি কম্বাইন্ড হারভেষ্টর মেশিন ব্যবহার করা হবে বলে জানায়, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।
হাকালুকি হাওরে ধান কাটা উদ্বোধন করেছেন জেলা প্রশাসক। এসময় তিনি বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে ধান কাটার ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
মৌলভীবাজারে এবার ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে দু’লাখ ১৭ হাজার মেট্রিক টন।
এদিকে, সুনামগঞ্জের হাওরে এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহ থেকে আগাম জাতের ধান কাটা শুরু হয়েছে। ৫২টি হাওরে দু’লাখ ২৩ হাজার ৩৩০ হেক্টর জমিতে হাইব্রিড ও উচ্চ ফলনশীল জাতের বোরো ধান আবাদ করা হয়েছে।
কৃষি বিভাগ থেকে ২৯০টি কম্বাইন্ড হারভেস্টার, ১১২টি রিপার মেশিন দেয়া হয়েছে। এখন পর্যন্ত ৫০ হাজার হেক্টর জমির ধান কাটা হয়ে গেছে। অকাল বন্যা ও পাহাড়ী ঢল থেকে ফসল রক্ষায় ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে কৃষান-কৃষানিরা।
জেলায় এবার ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে আট লাখ ৮৫ হাজার মেট্রিক টন।
হাওরে ফসলের উৎপাদন বাড়াতে ধান গবেষণা কেন্দ্রসহ ফসল রক্ষায় স্থায়ী বাধ নির্মানের দাবী জানিয়েছে ভুক্তভোগী কৃষক।