কৃষ্ণসাগরে শস্য চুক্তি নবায়নে রাজি পুটিন, দাবি এর্দোয়ানের
- আপডেট সময় : ০৬:৪৮:০১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৫ জুলাই ২০২৩
- / ১৬৯৭ বার পড়া হয়েছে
তুর্কি প্রেসিডেন্ট এর্দোয়ান বলেছেন, কৃষ্ণসাগরে শস্য চুক্তির মেয়াদ বাড়ানোর ক্ষেত্রে তিনি এবং ভ্লাদিমির পুটিন “একই অবস্থানে” রয়েছেন। তবে ক্রেমলিন জানিয়েছে, এ বিষয়ে কোনো ঘোষণা দেয়া হয়নি।
এর্দোয়ান সাংবাদিকদের বলেন, তিনি রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুটিনের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন। তিনি বলেন, “আমরা আগস্টে পুটিনকে স্বাগত জানানোর প্রস্তুতি নিচ্ছি। কৃষ্ণসাগরের শস্য করিডোর সম্প্রসারণের বিষয়ে আমরা একমত।”
তুর্কি নেতার দাবি, চুক্তি পুনর্নবীকরণের ক্ষেত্রে তিনি এবং পুটিন “একই মনোভাবে বিশ্বাসী”।
কেন কৃষ্ণসাগর শস্য চুক্তি গুরুত্বপূর্ণ?
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসনের কারণে ইউক্রেন থেকে শস্য রপ্তানি ব্যাহত হয়,যার ফলে কিছু দেশে খাদ্যের ঘাটতি দেখা দেয় এবং বিশ্বজুড়ে দাম বেড়ে যায়।
বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির তথ্যমতে, ইউক্রেনে উৎপাদিত শস্য বিশ্বব্যাপী প্রায় ৪০ কোটি লোকের খাবারের জোগান দেয়।
২০২২ সালের জুলাই মাসে কৃষ্ণসাগরে শস্য চুক্তি সাক্ষরে মধ্যস্থতা করেছিল তুরস্ক। এরপর এই চুক্তি বেশ কয়েকবার নবায়নও হয়েছে।
চুক্তিটির ফলে ইউক্রেন তিন কোটি ২০ লাখ মেট্রিক টন শস্য রপ্তানির অনুমতি পেয়েছে। এই শস্যের বেশিরভাগই আফ্রিকা, মধ্যপ্রাচ্য এবং অন্যান্য অঞ্চলের উন্নয়নশীল দেশগুলোতে গেছে।
চুক্তিটি নবায়ন না হলে ১৮ জুলাই শেষ হয়ে যাবে৷ অথচ, হর্ন অব অফ্রিকা অঞ্চলে ব্যাপক পরিমাণে শস্য ঘাটতি দেখা দিয়েছে। শস্য ঘাটতিতে ভুগছে ইরিত্রিয়া, সোমালিয়ার মতো দেশগুলো।
রাশিয়া রপ্তানির নিশ্চয়তা চায়
মস্কো বারবার কৃষ্ণসাগর শস্য চুক্তি পুনর্নবায়ন না করার হুমকি দিয়ে আসছে। তাদের অভিযোগ, চুক্তি অনুযায়ী রাশিয়ার সার এবং শস্য রপ্তানি সংক্রান্ত প্রতিশ্রুতি পূরণ করা হয়নি।
অর্থপ্রদান, সরবরাহ এবং পরিবহণ সংক্রান্ত পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞাগুলোথেকে মুক্ত হতে চায় রাশিয়া। তাদের দাবি, রপ্তানির ক্ষেত্রে এগুলো বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে পুটিন বলেন, চুক্তির অধীনে রাশিয়ার দাবিগুলোর একটিও পূরণ হয়নি।
পুটিন বলেন, “আমি জোর দিয়ে বলতে চাই, কিছুই করা হয়নি। সবই একতরফা। আমরা কী করবো, তা নিয়ে আবার ভাবতে হবে। আমাদের হাতে আরো কয়েক দিন আছে।”
এই সপ্তাহের শুরুতে, জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস পুটিনকে চুক্তির মেয়াদ বাড়ানো এবং রাশিয়ার সার রপ্তানিতে বাধা দূর করার জন্য একটি চিঠি পাঠিয়েছেন।
এর্দোয়ানের আশা, “এই চিঠির মাধ্যমে আমরা আমাদের এবং রাশিয়ার যৌথ প্রচেষ্টায় শস্য করিডোরের সম্প্রসারণ নিশ্চিত করতে পারবো।”
ডয়চে ভেলে