কোয়ান্টাম সুপ্রিমেসি আবিষ্কারের ফলে উন্নত ভবিষ্যতের নতুন দুয়ার খুলে গেছে
- আপডেট সময় : ১০:৫৭:২৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ অক্টোবর ২০১৯
- / ১৬০৯ বার পড়া হয়েছে
তথ্য প্রযুক্তি বিষয় সংস্থা গুগল এমন এক উন্নত কম্পিউটার তৈরির দাবি করেছে, যার মাধ্যমে প্রথমবারের মতো ‘কোয়ান্টাম সুপ্রিমেসি’ অর্জিত হয়েছে। সংস্থার দাবি, এই আবিষ্কারের ফলে উন্নত ভবিষ্যতের নতুন দুয়ার খুলে গেছে।
বেশ কয়েক বছর ধরেই প্রযুক্তি বিশ্বে একটি বহুল আলোচিত শব্দ হচ্ছে কোয়ান্টাম কম্পিউটার। বলা হয়ে থাকে, এই কম্পিউটারের নাগাল যে বা যারা পাবে, তারাই পুরো বিশ্বের নিয়ন্ত্রক হবে। গবেষকেরা কয়েক দশক ধরেই কোয়ান্টাম কম্পিউটার তৈরির চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিলেন। বুধবার বিজ্ঞান সাময়িকী নেচার জানায়, গুগল এমন কম্পিউটার তৈরিতে সত্যিই সক্ষম হয়েছে এবং এর ফলে সংস্থাটি কোয়ান্টাম সুপ্রিমেসি অর্জন করলো।
গুগল বলছে, তাদের আবিষ্কৃত সেকামোর কোয়ান্টাম প্রসেসর নির্দিষ্ট যে কাজ ২০০ সেকেন্ডে সম্পন্ন করতে সক্ষম, তা বিশ্বের সেরা সুপার কম্পিউটারের করতে সময় লাগবে ১০ হাজার বছরেরও বেশি। ‘প্রথাগত কম্পিউটার যে অল্পসংখ্যক জটিল সমস্যার সমাধান করতে প্রচুর সময় লেগে যায়, এটি তা নিমেষেই করতে পারবে। ফলে ওষুধশিল্প থেকে শুরু করে তেলশিল্প, সবখানেই বিপ্লব আনতে পারে কোয়ান্টাম কম্পিউটার।’
গবেষকেরা এ উদ্ভাবনকে ১৯০৩ সালে রাইট ভ্রাতৃদ্বয়ের প্রথম উড়োজাহাজ আবিষ্কারের ঘটনার সঙ্গে তুলনা করেছেন। তবে এ কম্পিউটারের পূর্ণ সুফল পেতে আরও সময় লাগবে বলে জানিয়েছে গুগল। অবশ্য এই কম্পিউটার নিয়ে ঝুঁকিও আছে। এই কম্পিউটার দিয়ে চাইলে প্রচলিত ইন্টারনেটের সব নিরাপত্তাব্যবস্থা তাসের ঘরের মতো ভেঙে ফেলা সম্ভব। চাইলে অচল করে দেওয়া যাবে রাষ্ট্রীয় প্রতিরক্ষাব্যবস্থাও। হ্যাক করা যাবে সরকারি ডেটাবেইস। ব্যাংকিং ব্যবস্থায় নিয়ন্ত্রণও করা যাবে। এসব দিক বিবেচনায় অনেকে একে ‘ভয়ংকর’ কম্পিউটার বলতেও দ্বিধা করছেন না।