ক্রমশ লাগামহীন নিত্যপণ্যের বাজার
- আপডেট সময় : ০২:৩৭:৩৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ নভেম্বর ২০২২
- / ১৬২৪ বার পড়া হয়েছে
কিছুদিন আগে সরকার তেলের দাম নির্ধারণ করে দিলেও আবারও সরকারি উদ্যেগেই বাড়িয়ে দেয়া হয়েছে সয়াবিন তেলের দাম।এবার লিটারে বেড়েছে ১২ টাকা। সংকট দেখিয়ে এক লাফে চিনির কেজিতে বেড়েছে ১৩ টাকা।
কোন কারণ ছাড়াই ৫ টাকা বাড়ল লবনের দাম। ক্রমশ আরও লাগামহীন চালের বাজার। সরবরাহ ব্যাপক থাকলেও কমছে না সবজির দাম। বাজার ঘুরে দেখা যায় ক্রেতাদের ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া।
হু….হু করে বাড়ছেই প্রতিটি নিত্যপণ্যের দাম। ধারাবাহিকভাবে বাড়তি দরের জিনিষ কিনতে গিয়ে নাজেহাল সব শ্রেণী পেশার ভোক্তা ও ব্যবহারকারীকে।
সপ্তাহের ব্যবধানে বোতলজাত সয়াবিন তেল ও চিনির দাম বাড়িয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। তেল লিটারে ১২ টাকা এবং চিনি কেজিতে ১৩ টাকা বেড়েছে। দাম বৃদ্ধির কোন কারণ খুঁজে পাচ্ছে না ব্যবসায়ীরা।
পাল্লা দিয়ে বাড়ছে আটা ও ময়দার দাম। এই সপ্তাহে কেজি প্রতি বেড়েছে ৬ টাকা। বেড়েছে সবধরনের ডালের দামও। বাড়তি দরে বিক্রি হচ্ছে পেঁয়াজ ও রসুন৷ হঠাৎই ৫ টাকা বেড়েছে মোটা চিকন সব ধরণের লবণের দাম।
লাগামহীন ভাবেই চলছে চালের বাজারে। দাম কমার কোন লক্ষ্মণ নেই। সপ্তাহের ব্যবধানে সবধরনের চাল বেড়েছে ৫ টাকা করে। ভরা মৌসুমেও দাম কমা নিয়ে আশঙ্কা ব্যবসায়ীদের।
সরবরাহ থাকলেও উর্ধ্বমুখী সবজির বাজার। পাইকারী সবজির বাজারে ৬০ টাকার নিচে মিলছে না কোন সবজি। সদুউত্তর মিলছে না বিক্রেতাদের কাছ থেকে।
এদিকে, আগুন লেগেছে মাছের বাজারে। চড়া দামে কিনতে হচ্ছে ইলিশ। চাষ করা মাছ বিক্রি করতে হচ্ছে কেজি ৩৫০ টাকারও উপরে। নদীর মাছ কিনতে পকেট থেকে হাওয়া হচ্ছে হাজার টাকা। ব্রয়লার, লেয়ার এবং দেশি মুরগীর দামও নাগালের বাইরে।
নাভিশ্বাস পরিস্থিতির মধ্যেই টিকে থাকতে লড়াই করছেন ক্রেতা সাধারণ।