ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠীর উন্নয়নে বাজেটে মন্ত্রণালয় ভিত্তিক বরাদ্দ না থাকায় মিলছে না সুফল
- আপডেট সময় : ০৩:১৯:৫৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৪ জুন ২০২০
- / ১৫৩৪ বার পড়া হয়েছে
বরাবরের মতো ২০২০-২১ অর্থবছরের জাতীয় বাজেটেও পার্বত্য চট্টগ্রামসহ দেশের সমতলে বসবাসরত ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী সম্প্রদায়ের দাবি-দাওয়া উপেক্ষিত হয়েছে বলে অভিযোগ জাতিসত্ত্বার প্রতিনিধি এবং গবেষকদের। এ খাতে গেল বছরের চেয়ে এবার কিছুটা বরাদ্দ বাড়লেও মন্ত্রণালয় ভিত্তিক আলাদা বরাদ্দ না থাকায় সুফল আসছে না। এছাড়া অমীমাংসিত ভূমি সংস্কার আর ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সংস্কৃতি রক্ষায় পৃথক পরিকল্পনা ও প্রকল্প গ্রহণের দাবি জানান তারা।
পিছিয়ে পড়া ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী সম্প্রদায়ের মানুষের জীবন মান উন্নয়নে নানামুখী পরিকল্পনার একটি রূপরেখা থাকে জাতীয় বাজেটে। এবারও তা গতানুগতিকভাবে থাকলেও প্রত্যাশা ও প্রাপ্তির ফারাক অনেক। পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের জন্য ১ হাজার ২৩৫ কোটি টাকা বরাদ্দের সুপারিশ এসেছে প্রস্তাবিত বাজেটে। গেলবার যার পরিমাণ ছিলো ১ হাজার ১৯৪ কোটি টাকা। এছাড়া সমতলের নৃগোষ্ঠীর জন্য থোক বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ৮০ কোটি টাকা। এই বরাদ্দও গেলবারের চেয়ে ৩০ কোটি টাকা বেশি। কিন্তু এতে সন্তুষ্ট নন ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী সম্প্রদায়ের মানুষেরা।
তাদের দাবি, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের বাইরে জেলা পরিষদ, আঞ্চলিক পরিষদ এবং ভূমি-কমিশনসহ পার্বত্য এলাকার সক্রিয় সংগঠনগুলোর জন্য পৃথক পৃথক বরাদ্দ।
গবেষকরা বলছেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের বাসিন্দাদের অসন্তুষ্টির মূল জায়গা ভূমির অধিকারের বিষয়টি মীমাংসিত না হওয়া। তাই ক্ষুদ্র নৃগোষ্টি সম্প্রদায়ের মানুষের স্বাস্থ্য, শিক্ষা, ভৌত অবকাঠামো উন্নয়নের পাশাপাশি ভূমি কমিশনকে সক্রিয় করে দীর্ঘদিনের অমিমাংশিত জটিলতা নিরসনের উদ্যোগ থাকা উচিত ছিল বাজেটে।
টিআইবি বলছে, সারাদেশে ক্ষুদ্র নৃগোষ্টি সম্প্রদায়ের জনসংখ্যা ৩০ লাখ। যার অন্তত ২০ লাখই বসবাস করে পার্বত্য চট্টগ্রামে। বিপুল সংখ্যক এই মানুষের আবাসস্থল ঘিরে যে বরাদ্দ দেয়া হয় তার অধিকাংশই ব্যয় হয় রাস্তাঘাট আর ভৌত অবকাঠামোর উন্নয়নে। কিন্তু তাদের জীবন মান ও সংস্কৃতি রক্ষার বিষয়টি উপেক্ষিত থেকে যায় প্রতিবছর।
ক্ষুদ্র নৃগোষ্টি সম্প্রদায়সহ সব শ্রেণী-পেশার মানুষের মতামতের ভিত্তিতে বাজেট প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে তাদেরকে অংশীদার করতে পারলে সুফল বেশী আসতো বলেও মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।