খাদ্যমূল্যের অস্বাভাবিক ঊর্ধ্বগতিতে নাভিশ্বাসে মানুষ
- আপডেট সময় : ০১:৫২:০৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১২ মে ২০২৩
- / ১৬৩৩ বার পড়া হয়েছে
সরকারকে শুধু রাজনীতিতে নয়, বাজার ও জনগণের দিকেও নজর রাখার দাবি সাধারণ মানুষের। না হলে অনাহারে, পুষ্টিহীনতায় ভোগা জাতি রাজনীতিকেও আরো অস্থির করে তুলবে। বাজারে এখন অধিকাংশ সবজি বিক্রি হচ্ছে ১’শ টাকা কেজিতে। মাছ-মাংস অনেক আগেই ক্রেতাদের সামর্থ্যের বাইরে চলে গেছে। এদিকে বাজার ঘুরেও পাওয়া যাচ্ছে না চিনি। বাড়ছে ভোজ্যতেলের দামও। মুদি দোকানে সব পণ্যের দাম বেড়েছে ৩০ থেকে ৬০ শতাংশ। খোদ মন্ত্রীও স্বীকার করেছেন, বাজারে দিয়ে এখন কাঁদছে মানুষ।
নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্যপণ্যের মূল্যের অস্বাভাবিক ঊর্ধ্বগতিতে আয়ের সাথে ব্যয় সামাল না দিতে পেরে নাভিশ্বাস উঠেছে সাধারণ মানুষের। সরকারের খোদ শিল্প প্রতিমন্ত্রীই এবার স্বীকার করলেন, বাজারে গিয়ে দিশেহারা মানুষ এখন কাঁদছে।
অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির কারণে কেনাকাটা অর্ধেক কমাতে বাধ্য হচ্ছেন সাধারণ মানুষ।
মুদির দোকান ঘুরে কোথাও মিলছে না চিনি। পেঁয়াজের দাম হঠাৎ বেড়ে হয়েছে দ্বিগুণ। সব ধরনের মশলার দামও বাড়তি।
খোলাবাজারে ভোজ্যতেলের দাম বেড়েছে লিটারে ১২ টাকা। বোতলজাত সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা লিটার।
চালে দাম বেড়ে আপাতত স্থির থাকলেও বেড়েই চলছে আটা-ময়দার দাম।
মাছ-মাংসের দাম বেড়েছে ৫০ শতাংশ। সাধারণ মানুষের নির্ভরতা ছিল সস্তা ব্রয়লার মুরগির উপর। সেটাও বেড়ে এখন তিনশ’ টাকা কেজি ছুঁই ছুঁই।
জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির প্রভাব পড়েছে পরিবহন ভাড়ায়। ফলে সবজির দামও অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পেয়েছে। কাঁচা মরিচ ১৬০ টাকা, আলু ৪০ টাকা, কাঁচাপেঁপে ৮০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
বাজারে এমন অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির প্রভাবে দেশের দরিদ্র শ্রেণীর মানুষ পুষ্টিহীনতায় পড়ছে বলে মনে করছেন সাধারণ মানুষ।
সাধারণ ক্রেতাদের দাবি, সরকারের শুধু রাজনীতির দিকে মনোযোগী না হয়ে, বাজার নিয়ন্ত্রণে কার্যকর ব্যবস্থা করা।