খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে হাইকোর্টের সামনে বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসূচি পালন
- আপডেট সময় : ০৮:১৫:৪১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০১৯
- / ১৫৩৮ বার পড়া হয়েছে
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে হাইকোর্টের সামনে বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্ম দল। এ সময় পুলিশের সঙ্গে কর্মীদের ধাওয়া–পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। একপর্যায়ে মিছিল থেকে ইট-পাটকেল ছোড়া হলে লাঠিপেটা করে পুলিশ। ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ারশেল ছুড়লে, স্থান ত্যাগ করে আন্দোলনকারিরা। সেসময় কয়েকটি প্রাইভেট কার ভাংচুর করে তারা। এ সময় খালেদা জিয়ার মুক্তি ও সরকারের পদত্যাগ দাবি করেন বিএনপি নেতা আব্দুল্লাহ আল নোমান ও গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।
খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে জাতীয় প্রেসক্লাবের ভেতর থেকে হঠাৎ করেই জাতীয়তাবাদী মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্ম দলের ব্যানারে, বিএনপি নেতা আব্দুল্লাহ আল নোমান ও গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর নেতৃত্বে, একটি মিছিল বের হলে, প্রেসক্লাবের গেটেই আটকে দেয়ার চেষ্টা করে পুলিশ। তবে পুলিশের বাধা অতিক্রম করে হাইকোর্টের সামনে যায় মিছিলটি। পুরো সড়ক আটকে দিয়ে সেখানে অবস্থান নিয়ে খালেদা জিয়ার মুক্তির শ্লোগান দিতে থাকে মিছিলকারীরা।
পুলিশ এসে কয়েক দফা তাদের সরানোর চেস্টা করলেও খালেদা জিয়ার মুক্তি না হওয়া পর্যন্ত স্থান ত্যাগ না করার কথা জানান তারা। খালেদা জিয়ার মুক্তির জোর দাবি জানান, আব্দুল্লাহ আল নোমান ও জাফরুল্লাহ চৌধুরী। সরকারকে পদত্যাগ করে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনের নির্বাচনেরও দাবি জানান তারা।
এক ঘন্টা পর অতিরিক্ত পুলিশ জড়ো হয়ে, সেখান থেকে অবস্থানকারিদের সরিয়ে দিতে কয়েক রাউন্ড টিয়ারশেল ছুড়ে এবং ধাওয়া দিলে ছত্রভঙ্গ হয়ে বিভিন্ন দিকে সরে যান আন্দোলনকারিরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আসে পুলিশের। আন্দোলনকারিরা সরে যেতে রাজি না হওয়ায় ধাওয়া দেয়া হয়েছে বলে জানান পুলিশের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা।
এ সময় কয়েকটি প্রাইভেটকার ভাংচুর করে বিক্ষোভকারিরা। তবে সেখান থেকে কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। এর আগে খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে প্রেসক্লাব অডিটরিয়ামে সমাবেশ করে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্ম দল। সেখান থেকে খালেদা জিয়ার মুক্তির আল্টিমেটাম দেন বক্তারা।
এদিকে, খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে হাইকোর্টে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে জাতীয়তাবাদী আইনজীবীরা। এই সরকার খালেদা জিয়ার মুক্তি দেবে না দাবি করে, সরকারের পদত্যাগ চান আইনজীবী নেতারা। অন্যদিকে, নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে যত দ্রুত সম্ভব খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবি জানান বিএনপি নেতা রুহুল কবির রিজভী।