খুচরা বাজারে আরো বেড়েছে ভোজ্যতেলের দাম
- আপডেট সময় : ০৮:২৫:০২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২১
- / ১৫৩১ বার পড়া হয়েছে
সরকার ভোজ্যতেলের দাম বাড়িয়ে বেঁধে দেয়ার পর, খুচরা বাজারে আরো বেড়েছে এর দাম। বাজারে বর্তমানে প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকায়। আর খোলা তেলের দাম চলতি বাজারের তুলনায় সরকার আরো বাড়িয়ে দেবার পরে ব্যবসায়ীরা তাও লংঘনের মওকা পেয়েছেন। তবে ব্যবসায়ীরা বলছেন, আন্তর্জাতিক বাজারে চাহিদার তুলনায় সয়াবিন ও পাম অয়েলের সরবরাহ কমায় সব অস্থিতিশীল হয়ে পড়েছে। সরকারের দাম নির্ধারণ হিতে বিপরীত হয়েছে বলেও মন্তব্য তাদের।
দেশের বাজারে দু’মাস ধরে অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে চলেছে ভোজ্যতেলের দাম। এমন বাস্তবতায় বুধবার তেলের দাম নির্ধারণ করে দেয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। খুচরা বাজারে প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন ১১৫ টাকা আর বোতলজাত তেল ১৩৫ টাকায় নির্ধারণ করা হয়। এর পরদিনই প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিনের সর্বোচ্চ দাম উঠেছে ১৪০ টাকায়। গত এক যুগের ইতিহাসে এই বৃদ্ধির হার একটি রেকর্ড।
শুধু বোতলজাত সয়াবিন তেলই নয়, খোলা সয়াবিন এবং পাম তেলের দামও চড়েছে ব্যাপক হারে। প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন উঠেছে ১২০ টাকায়, সুপার পাম ১১০ থেকে ১১৫ টাকা, আর পাম অয়েল বিক্রি হচ্ছে ১শ’ থেকে ১০২ টাকায়। সরকার নির্ধারিত সর্বোচ্চ দরে বাজারে মিলছে না ভোজ্যতেল।
তেলের এমন দাম বাড়ায় বিপাকে সাধারণ মানুষ। তাদের মতে, সরকার ভোক্তা-বান্ধব না হয়ে ব্যবসা-বান্ধব হওয়ায়, সর্বোচ্চ স্তরে দাম বেঁধে দিয়ে তা অতিক্রম করার এক ধরনের বৈধতা দেয়া হয়েছে ব্যবসায়ীদের। আর ব্যবসায়ীরা বলছেন, আন্তর্জাতিক বাজারে চাহিদার তুলনায় সয়াবিন ও পাম অয়েলের সরবরাহ কম। এজন্য দাম বেশি। তবে অনেকে আবার দায় চাপাচ্ছেন মিল মালিক ও মধ্যস্বত্বভোগীদের উপর।
বাংলাদেশে আমদানী-নির্ভর ভোজ্যতেলের বড় উৎস- মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়ায় ফেব্রুয়ারি-মার্চ থেকে শুরু হয় পাম অয়েলের মৌসুম। তাই এ সময়ে দাম আরো কমে যায়। সেখানে এবার উত্পাদন ভালো হওয়ায় শিগগিরই ভোজ্য তেলের দাম কমার প্রত্যাশা ব্যবসায়ীদের।