০৩:৩০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪

খুলনা নিউজপ্রিন্ট মিলের অব্যবহৃত যন্ত্রাংশ বিক্রিতে অনিয়মের অভিযোগ

এস. এ টিভি
  • আপডেট সময় : ১২:৩৭:২৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • / ১৬৩৩ বার পড়া হয়েছে
এস. এ টিভি সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

খুলনা নিউজপ্রিন্ট মিলের অব্যবহৃত বিপুল পরিমাণ যন্ত্রাংশ বিক্রিতে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। পানির দরে অধিকাংশ যন্ত্রাংশ বিক্রি করে বিরাট অংকের টাকা ভাগ বাটোয়ারা করে নিয়েছেন সাবেক শিল্পমন্ত্রী, শিল্প সচিব ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চাচাতো ভাই’রা–এমন দাবি করেছেন মিলের প্রাক্তন শ্রমিকরা।

ক্রমাগত লোকসান এবং মূলধনের ঘাটতির কারণে খুলনা নিউজপ্রিন্ট মিলটির উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায় ২০০২ সালে। তার পর থেকে এই স্থানে বিভিন্ন ধরনের প্রকল্প গ্রহণ করার উদ্যোগ নিলেও সেটি বাস্তবে রুপ নেয়নি।মিলের ৮৮ একর জমির মধ্যে ৫০ একর জমি এর মধ্যে বিক্রি করা হয়েছে।বাকি অংশে থাকা বিভিন্ন স্থাপনা বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে মিল কর্তৃপক্ষ।২০২৩ সালে দরপত্র আহবায়ন করা হলে ১৭ টি দরপত্র বিক্রি হয়।কিন্তু অদৃশ্য কারণে সেই দরপত্র জমা পড়ে মাত্র ১টি আর সেই প্রতিষ্ঠানের নামেই কার্যাদেশ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় মিল কর্তৃপক্ষ।তবে কার্যাদেশ ওই প্রতিষ্ঠানকে এখনো বুঝিয়ে না দিলেও তাদের জনবল মিলের ভিতরে অবস্থান করছে।

টেন্ডারের নামে মিলের অভ্যন্তরে শত শত কোটি টাকার মালামাল রয়েছে তা লুট করার চেষ্টা চলছে।আর এই লুট প্রক্রিয়া জায়েজ করার জন্য প্রায় ৮০ কোটি টাকা অবৈধ লেনদেন হয়েছে।যার সাথে জড়িত মিলের বর্তমান এমডি আবু সাঈদ,সাবেক শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন,শিল্প মন্ত্রনালয়ের সচিব,সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চাচাতো ভাই শেখ হেলাল উদ্দিন,শেখ জুয়েল ও শেখ সোহেল।এই বিপুল অংকের টাকা বিনিময়ে একটি শিডিউল জমা পড়েছে আর তাতেই ৫০০ কোটি টাকার সম্পদ মাত্র ৬৮ কোটি ৭৩ লাখ টাকায় বিক্রি করে দিচ্ছে বলে অভিযোগ করছে খুলনা নিউজপ্রিন্ট মিল চাকুরীচ্যুত শ্রমিক,কর্মচারি সংগ্রাম পরিষদের নেতারা।

মিলটির বর্তমান ব্যবস্থাপনা পরিচালকের কাছে টেন্ডারে অনিয়ম নিয়ে অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে এ বিষয়ে ঢাকা অফিসের সাথে যোগাযোগ করতে বলেন তিনি । অন্তর্বতীকালীন সরকারের কাছে মানুষের অনেক চাহিদা জনগণের সম্পদ জনগণের কল্যাণে ব্যবহার করার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন সুশীল সমাজের এই প্রতিনিধি। এর আগে ডিপিএম এর মাধ্যমে তিনটি সংস্থার কাছে স্ত্র্যাব হিসেবে পরিত্যাক্ত ১১টি জাহাজ,৭টি বার্জ ১৭টি গাড়ী ও ২৮টি ক্রেন বিক্রি করে বিসিআইসি ।

এস. এ টিভি সমন্ধে

SATV (South Asian Television) is a privately owned ‘infotainment’ television channel in Bangladesh. It is the first ever station in Bangladesh using both HD and 3G Technology. The channel is owned by SA Group, one of the largest transportation and real estate groups of the country. SATV is the first channel to bring ‘Idol’ franchise in Bangladesh through Bangladeshi Idol.

যোগাযোগ

বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬,
গুলশান-১, ঢাকা-১২১২,
বাংলাদেশ।
ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০
ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪
ই-মেইল: info@satv.tv
ওয়েবসাইট: www.satv.tv

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০১৩-২০২৩। বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ। ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০, ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

খুলনা নিউজপ্রিন্ট মিলের অব্যবহৃত যন্ত্রাংশ বিক্রিতে অনিয়মের অভিযোগ

আপডেট সময় : ১২:৩৭:২৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪

খুলনা নিউজপ্রিন্ট মিলের অব্যবহৃত বিপুল পরিমাণ যন্ত্রাংশ বিক্রিতে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। পানির দরে অধিকাংশ যন্ত্রাংশ বিক্রি করে বিরাট অংকের টাকা ভাগ বাটোয়ারা করে নিয়েছেন সাবেক শিল্পমন্ত্রী, শিল্প সচিব ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চাচাতো ভাই’রা–এমন দাবি করেছেন মিলের প্রাক্তন শ্রমিকরা।

ক্রমাগত লোকসান এবং মূলধনের ঘাটতির কারণে খুলনা নিউজপ্রিন্ট মিলটির উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায় ২০০২ সালে। তার পর থেকে এই স্থানে বিভিন্ন ধরনের প্রকল্প গ্রহণ করার উদ্যোগ নিলেও সেটি বাস্তবে রুপ নেয়নি।মিলের ৮৮ একর জমির মধ্যে ৫০ একর জমি এর মধ্যে বিক্রি করা হয়েছে।বাকি অংশে থাকা বিভিন্ন স্থাপনা বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে মিল কর্তৃপক্ষ।২০২৩ সালে দরপত্র আহবায়ন করা হলে ১৭ টি দরপত্র বিক্রি হয়।কিন্তু অদৃশ্য কারণে সেই দরপত্র জমা পড়ে মাত্র ১টি আর সেই প্রতিষ্ঠানের নামেই কার্যাদেশ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় মিল কর্তৃপক্ষ।তবে কার্যাদেশ ওই প্রতিষ্ঠানকে এখনো বুঝিয়ে না দিলেও তাদের জনবল মিলের ভিতরে অবস্থান করছে।

টেন্ডারের নামে মিলের অভ্যন্তরে শত শত কোটি টাকার মালামাল রয়েছে তা লুট করার চেষ্টা চলছে।আর এই লুট প্রক্রিয়া জায়েজ করার জন্য প্রায় ৮০ কোটি টাকা অবৈধ লেনদেন হয়েছে।যার সাথে জড়িত মিলের বর্তমান এমডি আবু সাঈদ,সাবেক শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন,শিল্প মন্ত্রনালয়ের সচিব,সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চাচাতো ভাই শেখ হেলাল উদ্দিন,শেখ জুয়েল ও শেখ সোহেল।এই বিপুল অংকের টাকা বিনিময়ে একটি শিডিউল জমা পড়েছে আর তাতেই ৫০০ কোটি টাকার সম্পদ মাত্র ৬৮ কোটি ৭৩ লাখ টাকায় বিক্রি করে দিচ্ছে বলে অভিযোগ করছে খুলনা নিউজপ্রিন্ট মিল চাকুরীচ্যুত শ্রমিক,কর্মচারি সংগ্রাম পরিষদের নেতারা।

মিলটির বর্তমান ব্যবস্থাপনা পরিচালকের কাছে টেন্ডারে অনিয়ম নিয়ে অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে এ বিষয়ে ঢাকা অফিসের সাথে যোগাযোগ করতে বলেন তিনি । অন্তর্বতীকালীন সরকারের কাছে মানুষের অনেক চাহিদা জনগণের সম্পদ জনগণের কল্যাণে ব্যবহার করার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন সুশীল সমাজের এই প্রতিনিধি। এর আগে ডিপিএম এর মাধ্যমে তিনটি সংস্থার কাছে স্ত্র্যাব হিসেবে পরিত্যাক্ত ১১টি জাহাজ,৭টি বার্জ ১৭টি গাড়ী ও ২৮টি ক্রেন বিক্রি করে বিসিআইসি ।