গণপরিবহন বন্ধ থাকায় ঈদে ঘরমুখো মানুষেরা ব্যক্তিগত যানবাহন নিয়ে বাড়ীতে যেতে পারবেন
- আপডেট সময় : ০৭:৫৫:৪২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ মে ২০২০
- / ১৫৪১ বার পড়া হয়েছে
গণপরিবহন বন্ধ থাকায় ঈদে ঘরমুখো মানুষেরা ব্যক্তিগত যানবাহন নিয়ে বাড়ীতে যেতে পারবেন বলে পুলিশ সদর দফতর থেকে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। এ খবর ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন সড়কে ঈদে ঘরমুখো মানুষের চাপ বেড়েছে। করোনাকালে বিদ্যমান নগরীর প্রবেশমুখের চেকপোষ্টগুলোও সরিয়ে নিয়েছে পুলিশ। নারের টানে বাড়ী ফেরা মানুষগুলো সব কস্ট ভুলে ব্যক্তিগত এবং ভাড়া করা হালকা যানবাহন নিয়ে বাড়িতে রওনা দিয়েছেন। তবে গণপরিবহন বন্ধ থাকায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন নিম্ম আয়ের মানুষ। অনেকে তিন চারগুন ভাড়া দিয়েও পাচ্ছেন না কাঙ্খিত যানবাহন।
করোনা পরিস্থিতিতে ঈদুল ফিতরে রাজধানী ছাড়ার অনুমতি ছিল না নগরবাসীর। কিন্তু হঠাৎ করেই বৃহস্পতিবার রাত সরকারের উচ্চ পর্যায়ের নির্দেশে বদলে যায় দৃশ্যপট। পুলিশ সদর দফতর থেকে নির্দেশনার পরই রাজধানীর প্রবেশ মুখের সব চেকপোষ্ট তুলে নেয়া হয়। রাজধানী ছাড়ার ব্যাপারে পুলিশের বাধা সরিয়ে নেওয়ার পর রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর চিত্র এটি।
গণপরিবহন না থাকায় প্রিয়জনের সাথে ঈদ করতে রাস্তায় হাজির শত শত মানুষ। ভরসা ভাড়া গাড়ী, ইজিবাইকসহ হালকা যানবাহন ও মটর সাইকেল। তবে, ব্যক্তিগত নিজস্ব গাড়ীকে দেয়া এ সুযোগের সদ্ব্যাবহার করছেন ভাড়ায় চালিত গাড়ীর চালকরা। কুমিল্লা নোয়াখালী, সিলেট, চট্টগ্রামের ভাড়া হাকা হচ্ছে কয়েকগুন।
তবে গণপরিবহন বন্ধের সিদ্ধান্তকে পক্ষপাতদুষ্ট বললেন স্বল্প আয়ের মানুষ। অন্যদিকে দীর্ঘদিন পর এমন সুযোগকে আশির্বাদ হিসেবে দেখছেন চালকরা। পুলিশ বলছে, ভাড়ার গাড়ীকেও অনেকে ব্যক্তিগত গাড়ী বলে অথবা নানা অজুহাত দেখিয়ে যাচ্ছেন, যা ঠেকানো অনেকটাই কষ্টকর। এমন নির্দেশনা আগেভাগে দিলে, চোর পুলিশ খেলার মাত্রাটা যেমন কমতো; তেমনি কিছুটা হলেও স্বস্থি মিলতো রাস্তায়-এমনটাই মনে করেন নগরবাসী।