০১:২৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪

গণহত্যা চালিয়ে ক্ষমতার মসনদ দখলে রেখেছিলো ফ্যাসিস্ট হাসিনা

এস. এ টিভি
  • আপডেট সময় : ১১:৩২:৩৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • / ১৬৮৪ বার পড়া হয়েছে
এস. এ টিভি সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

যে কোন আন্দোলন বল প্রয়োগে দমন করায় নেশা হয়ে উঠেছিলো পতিত স্বৈরাচার শেখ হাসিনা সরকারের। শুধু ছাত্র আন্দোলনই নয়, গত ১৬ বছরে দফায় দফায় গণহত্যা চালিয়ে ক্ষমতার মসনদ দখলে রেখেছিলো ফ্যাসিস্ট হাসিনা। আর তার এই অবৈধ কাজে অতি উৎসাহী ভুমিকা পালন করেছিলো পুলিশ। তবে জুলাই বিপ্লবে ছাত্র জনতার অভ্যুত্থানে তাসের ঘরের মতো ভেঙ্গে গেছে শেখ হাসিনার সব অহমিকা।

কোটা বিরোধী আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের গুলি করে হত্যার পর ভ্যান ভর্তি মরদেহ নিয়ে পুড়িয়ে দেয়ার এই দৃশ্য দেখে রক্তক্ষরণ হয়েছে সব বিবেকবান মানুষের হৃদয়ে। যাত্রাবাড়ির ফ্লাই ওভারের নিচে ছাত্রজনতার বিজয় মিছিলে নির্বিচারে গুলি করে হত্যা করার এই ভিডিও হতবাক করেছে গোটা বিশ্ববাসীকে। ফুটেজ-১

গত ১৬ বছর ধরে এমন গণহত্যা দফায় দফায় চালিয়েছে শেখ হাসিনা সরকারের পুলিশ বাহিনী। ফুটেজ-২ রাজনৈতিক কর্মসুচীই হোক কিংবা সামাজিক বা ধর্মীয় কোন দাবি দাওয়াই হোক। সবকিছুই গুলি করে দমানোর নেশাই মত্ত হয়ে উঠেছিলো ফ্যাসিস্ট আওয়ামীলীগ সরকারের। ফুটেজ-৩

অপশাসনের এই ১৬ বছরে সবচেয়ে বেশি নির্যাতিত হয়েছে ইসলামী সংগঠনগুলোর কর্মীরা। ২০১৩ সালে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশে গণহত্যা চালানোর পর ২০২১ সালেও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বাংলাদেশ সফররকে কেন্দ্র করে সামান্য বিক্ষোভ মিছিলটিকেও রক্ত ঝরিয়ে দমিয়ে দেয়ার পথে হাটে তৎকালিন সরকার।

৫ জানুয়ারি ২০১৫। ১৪ সালের ভোটার বিহিন একতরফা কথিত নির্বাচনের এক বছর পুর্তিকে গণতন্ত্র হত্যা দিবস উল্লেখ করে সমাবেশের ডাক দেয় বিএনপি। একপর্যায়ে হামলা চালায় পুলিশ। নির্বিচারে করা গুলিতে আহত হন বিএনপি ও জামায়াতের শতাধিক নেতাকর্মী। বিশ্লেষকরা বলছেন, রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে দমাতে পুলিশের অতিরিক্ত ক্ষমতায়নের ফল ভোগ করেছে আওয়ামীলীগ।

জুলাই বিপ্লবে শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর ১৬ বছরে অতিউৎসাহি ভুমিকার ফল ভোগ করতে হয়েছে পুলিশকেও। বিক্ষুব্ধ জনতার ক্ষোভের কেন্দ্রে পরিণত হয়েছিল বিভিন্ন থানাসহ পুলিশের স্থাপনা। তাই অর্ন্তবর্তি সরকারের কাছে প্রত্যাশা শুধু প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কারই নয় উদ্যোগ নেয়া হোক রাজনৈতিক নেতা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মানুষিকতার সংস্কারেও

এস. এ টিভি সমন্ধে

SATV (South Asian Television) is a privately owned ‘infotainment’ television channel in Bangladesh. It is the first ever station in Bangladesh using both HD and 3G Technology. The channel is owned by SA Group, one of the largest transportation and real estate groups of the country. SATV is the first channel to bring ‘Idol’ franchise in Bangladesh through Bangladeshi Idol.

যোগাযোগ

বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬,
গুলশান-১, ঢাকা-১২১২,
বাংলাদেশ।
ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০
ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪
ই-মেইল: info@satv.tv
ওয়েবসাইট: www.satv.tv

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০১৩-২০২৩। বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ। ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০, ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

গণহত্যা চালিয়ে ক্ষমতার মসনদ দখলে রেখেছিলো ফ্যাসিস্ট হাসিনা

আপডেট সময় : ১১:৩২:৩৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪

যে কোন আন্দোলন বল প্রয়োগে দমন করায় নেশা হয়ে উঠেছিলো পতিত স্বৈরাচার শেখ হাসিনা সরকারের। শুধু ছাত্র আন্দোলনই নয়, গত ১৬ বছরে দফায় দফায় গণহত্যা চালিয়ে ক্ষমতার মসনদ দখলে রেখেছিলো ফ্যাসিস্ট হাসিনা। আর তার এই অবৈধ কাজে অতি উৎসাহী ভুমিকা পালন করেছিলো পুলিশ। তবে জুলাই বিপ্লবে ছাত্র জনতার অভ্যুত্থানে তাসের ঘরের মতো ভেঙ্গে গেছে শেখ হাসিনার সব অহমিকা।

কোটা বিরোধী আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের গুলি করে হত্যার পর ভ্যান ভর্তি মরদেহ নিয়ে পুড়িয়ে দেয়ার এই দৃশ্য দেখে রক্তক্ষরণ হয়েছে সব বিবেকবান মানুষের হৃদয়ে। যাত্রাবাড়ির ফ্লাই ওভারের নিচে ছাত্রজনতার বিজয় মিছিলে নির্বিচারে গুলি করে হত্যা করার এই ভিডিও হতবাক করেছে গোটা বিশ্ববাসীকে। ফুটেজ-১

গত ১৬ বছর ধরে এমন গণহত্যা দফায় দফায় চালিয়েছে শেখ হাসিনা সরকারের পুলিশ বাহিনী। ফুটেজ-২ রাজনৈতিক কর্মসুচীই হোক কিংবা সামাজিক বা ধর্মীয় কোন দাবি দাওয়াই হোক। সবকিছুই গুলি করে দমানোর নেশাই মত্ত হয়ে উঠেছিলো ফ্যাসিস্ট আওয়ামীলীগ সরকারের। ফুটেজ-৩

অপশাসনের এই ১৬ বছরে সবচেয়ে বেশি নির্যাতিত হয়েছে ইসলামী সংগঠনগুলোর কর্মীরা। ২০১৩ সালে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশে গণহত্যা চালানোর পর ২০২১ সালেও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বাংলাদেশ সফররকে কেন্দ্র করে সামান্য বিক্ষোভ মিছিলটিকেও রক্ত ঝরিয়ে দমিয়ে দেয়ার পথে হাটে তৎকালিন সরকার।

৫ জানুয়ারি ২০১৫। ১৪ সালের ভোটার বিহিন একতরফা কথিত নির্বাচনের এক বছর পুর্তিকে গণতন্ত্র হত্যা দিবস উল্লেখ করে সমাবেশের ডাক দেয় বিএনপি। একপর্যায়ে হামলা চালায় পুলিশ। নির্বিচারে করা গুলিতে আহত হন বিএনপি ও জামায়াতের শতাধিক নেতাকর্মী। বিশ্লেষকরা বলছেন, রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে দমাতে পুলিশের অতিরিক্ত ক্ষমতায়নের ফল ভোগ করেছে আওয়ামীলীগ।

জুলাই বিপ্লবে শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর ১৬ বছরে অতিউৎসাহি ভুমিকার ফল ভোগ করতে হয়েছে পুলিশকেও। বিক্ষুব্ধ জনতার ক্ষোভের কেন্দ্রে পরিণত হয়েছিল বিভিন্ন থানাসহ পুলিশের স্থাপনা। তাই অর্ন্তবর্তি সরকারের কাছে প্রত্যাশা শুধু প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কারই নয় উদ্যোগ নেয়া হোক রাজনৈতিক নেতা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মানুষিকতার সংস্কারেও