গত ১৩ মাসে ১৪ জন নিহত হয়েছেন নীলফামারীর বিভিন্ন লেভেল ক্রসিং এ
- আপডেট সময় : ০২:৫০:৩৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ জানুয়ারী ২০২২
- / ১৫৩৭ বার পড়া হয়েছে
গত ১৩ মাসে ১৪ জন নিহত হয়েছেন নীলফামারীর বিভিন্ন লেভেল ক্রসিং এ। রেলের অধিকাংশ ক্রসিং অরক্ষিত থাকায় হরহামেশাই ঘটছে দূর্ঘটনা, ঝড়ছে প্রাণ। কিন্তু টনক নড়ছেনা রেল কতৃপক্ষের। তবে রেলপথ মন্ত্রী জানিয়েছেন, এসব ক্রসিং রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব স্থানীয় সরকার বিভাগের।
গত ২৬ জানুয়ারি জেলার দারোয়ানী রেল ক্রসিং এ ট্রেনের ধাক্কায় নিহত হন চার নারী শ্রমিক। গুরুতর আহত হন আরোও ৫ জন।
এর ঠিক মাস খানেক আগে বউ বাজার নামক স্থানে ট্রেনে কাটা পড়ে মারা যান একই পরিবারের ৩ শিশুসহ ৪ জন।
স্থানীয়রা জানান, অরক্ষিত রেল ক্রসিং এর কারণেই বার বার এমন প্রানহানীর ঘটনা ঘটেছে। অভিযোগ, শুধুমাত্র সাইনবোর্ড দিয়েই দায় এড়িয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ।
সৈয়দপুর থেকে চিলাহাটি পর্যন্ত রেলপথের দূরত্ব ৫২ কিলোমিটার, রয়েছে ৩৬টি রেল ক্রসিং। তবে কাগজে কলমে রয়েছে ৩৩টি। যেগুলোর এক চতুর্থাংশই অরক্ষিত। ব্যারিয়ার আর গেটম্যান আছে মাত্র ৯টি তে, ফলে প্রতিনিয়ত ঘটছে ছোট-বড় দূর্ঘটনা।
সম্প্রতি নীলফামারীতে রেল দূর্ঘটনায় নিহতের ঘটনায় পরিদর্শনে এসে রেলমন্ত্রী জানান, রেলবিভাগ ব্যারিয়ার স্থাপন করে রেলের নিরাপত্তার জন্য। তবে নতুন নতুন লেভেল ক্রসিংয়ের নিরাপত্তার দায়িত্ব স্থানীয় সরকার বিভাগের।
নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা বলছেন দূর্ঘটনার দায় কোন ভাবেই সরকার এড়াতে পারে না। দুর্ঘটনারোধে এবং জানমাল রক্ষায় জেলার অরক্ষিত রেল ক্রসিংগুলো দ্রুত রক্ষণাবেক্ষণের দাবী স্থানীয়দের।