গাইবান্ধার নশরৎপুরে পাতা হয়েছে অপচিকিৎসার ফাঁদ
- আপডেট সময় : ০৪:৩৬:৪০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২১
- / ১৫২৫ বার পড়া হয়েছে
দেশে প্রচলিত আধুনিক চিকিৎসা ব্যয় অস্বাভাবিক হারে বাড়ায় গ্রাম-গঞ্জের দরিদ্র মানুষ এখনো নির্ভর করছে ঝাড়ফুঁকের মতো অপচিকিৎসায়। গাইবান্ধায় পরীক্ষা-নিরীক্ষা এবং ওষুধ ছাড়াই, এখনো নেচে-গেয়ে ঝাড়ফুঁকের মাধ্যমে প্যারালাইসিস রোগী সুস্থ করার দাবি করছে কবিরাজরা। গ্রামে গ্রামে এমন অপচিকিৎসার ফাঁদ বাড়ছে। চিকিৎসকরা বলছেন, এমন ঝাড়ফুঁক মৃত্যুঝুঁকি বাড়াতে পারে।
এটি কোন বিয়ে বা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান নয়। নাচ-গানের এই আয়োজন প্যারালাইসিস আক্রান্ত রোগীর জন্য। ঝাড়ফুঁকের মাধ্যমে অসুস্থ্য বৃদ্ধা সেরে উঠবে বলে প্রচার করা হচ্ছে। গাইবান্ধা সদরের নশরৎপুরে চলছে অভিনব এ চিকিৎসা পদ্ধতি। অনেকেই সুস্থ্ হয়েছেন বলে দাবি করছেন এই কবিরাজ।
ঝাড়ফুঁকের সঙ্গে নাচ-গানে কিশোরীদের ব্যবহার করেন কবিরাজরা। রোগীর স্বজনও মনে করেন, অনেকটা উপকার পেয়েছেন।
তবে চিকিৎসকরা বলছেন, মানুষের অজ্ঞতাকে পূঁজি করে অপচিকিৎসা চালাচ্ছে এক শ্রেণীর কবিরাজ। এটা রোগীদের জন্য অনিরাপদ।
অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেবেন বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার।
দীঘ ২০ বছর থেকে জেলার বিভিন্ন এলাকায় প্যারালাইসিস আক্রান্ত রোগীর চিকিৎসা দিয়ে আসছেন বলে দাবি করিরাজের। তবে চিকিৎসকরা, এমন অপচিকিৎসা বন্ধে স্বাস্থ্য বিভাগের হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন।