গাজীপুরের রাজেন্দ্র ইকো রিজোর্ট নিয়ে দীর্ঘদিন পর নড়েচড়ে বসেছে জেলা প্রশাসন
- আপডেট সময় : ০৯:২১:৪৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২১
- / ১৫৩৫ বার পড়া হয়েছে
গাজীপুরের রাজেন্দ্র ইকো রিজোর্ট এন্ড ভিলেজ দখলের অভিযোগ নিয়ে দীর্ঘদিন পর নড়েচড়ে বসেছে জেলা প্রশাসন । মূল উদ্যোক্তা, ইয়েস মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটির এমডি অবসরপ্রাপ্ত মেজর কবির আহমেদ মাহমুদীর সংবাদ সম্মেলনের পর, জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে শুনানির জন্য দুই পক্ষকে তলব করা হয়। আইনি কারণ দেখিয়ে শুনানিতে এক পক্ষ উপস্থিত হয়নি। দখলকারীরা বেআইনিভাবে কোম্পানী গঠন করে জেলা প্রশাসনের কাছে মিথ্যা তথ্য দিয়ে প্রকৃত উদ্যোক্তাদের হয়রানি করছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
গাজীপুরে ২০০৮ সালে ৮০ বিঘা জমিতে, রাজেন্দ্র ইকো রিজোর্ট এন্ড ভিলেজ নামে এক প্রকল্প গড়ে তোলে ইয়েস মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি। সমবায়ের নিয়ম ও রিজোর্টের শর্ত মেনে ৪৭টি প্লট বিক্রি করে প্রতিষ্ঠানটি। বিনিয়োগকারীরা ধাপে ধাপে নির্দিষ্ট অংকের টাকা দিলে ১৪টি ভবন নির্মান শুরু করে কোম্পানীটি। কিন্তু, দু’একটি কিস্তি দেয়ার পর টাকা না দিতে নানা টালবাহানা শুরু করে কিছু প্লট মালিক। লাইসেন্স বাঁচাতে নিজ অর্থায়নে রিজোর্ট এর নির্মানকাজ শেষ করে ইয়েস মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেড। এরপরই তা জবর দখল করে উদ্যোক্তাদের উচ্ছেদ করে ওই প্লট মালিকরা।
সম্প্রতি সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন ইয়েস মাল্টিপাসপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটির এমডি অবসরপ্রাপ্ত মেজর কবির আহমেদ মাহমুদী। জীবন ও সম্পদের নিরাপত্তা চেয়ে প্রশাসনের দ্বারে দ্বারে ঘুরেও প্রতিকার পাননি বলে জানান তিনি। বিনিয়োগের নিশ্চয়তা পেতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন বিনিয়োগকারীরা।
রবিবার সকালে রাজেন্দ্র ইকো রিজোর্ট এন্ড ভিলেজ পরিদর্শন এবং পাল্টাপাল্টি অভিযোগের বিষয়ে শুনানি করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আবুল কালাম। তিনি জানান, সার্বিক পরিস্থিতি জেলা প্রশাসককে অবহিত করে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
অভিযোগের বিষয়ে এক প্লট ক্রেতা বলেন, আইন অনুযায়ী ইয়েস মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি প্লট বুঝিয়ে দিয়েছে। তারা এখন একটি লিমিটেড কোম্পানী তৈরি করে রিজোর্টটি ব্যবসায়িকভাবে পরিচালনা করতে চান।
রাজেন্দ্র ইকো রিজোর্ট এন্ড ভিলেজ এর চেয়ারম্যান এস এম মাহমুদী সাব্বির বলেন, ৪৭জন এর মধ্যে কয়েকজন ক্রেতা প্রভাব দেখিয়ে, আগের পাওনা না দিয়ে প্রকল্পটি দখল করছে। তাদের গঠিত কোম্পানীর রিজোর্ট পরিচালনার কোন অনুমোদন নেই।
স্থানীয়রাও বলছেন, এ রিজোর্টটি ২০০৮ সালে তৈরি করেছে ইয়েস মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি। এতদিন তারা এটি সফলতার সাথে পরিচালনা করায় এখানে পর্যটকদের আনাগোনা বেড়েছিল।