গারো পাহাড়ে বিদ্যুতের সংযোগে হুমকিতে বন্যপ্রাণীরা
- আপডেট সময় : ০৬:১৯:০২ অপরাহ্ন, সোমবার, ৬ মে ২০২৪
- / ১৬০৯ বার পড়া হয়েছে
নিয়মনীতিকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে শেরপুরের গারো পাহাড়ে পল্লী বিদ্যুতের সংযোগ দেয়ায় হুমকিতে পড়েছে বন্যপ্রাণী। একসময় যেখানে বন্যপ্রাণীদের অবাধ বাস ছিল, সেখানে দখলবাজরা ঘর-বাড়ি নির্মাণের পর বিদ্যুতের আলোয় আলোকিত থাকায় হারিয়ে যাচ্ছে বন্যপ্রাণী। অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করে বন্যপ্রাণীর অভয়ারণ্য করার দাবি পরিবেশবাদীদের। এদিকে দায়সারা কথা বললেও বন বিভাগ চাইলে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হবে; বলে জানান পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি।
শেরপুরের শ্রীবরদী, ঝিনাইগাতী ও নালিতাবাড়ী উপজেলার সীমান্ত জুড়ে গারো পাহাড়। পাহাড় জুড়ে উঁচু-নিচু টিলায় দেখা মিলতো নানা প্রজাতীর বন্যপ্রাণীর। নিয়ম-নীতিকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়ায় ঝলমলে আলোয় বন ছেড়ে চলে যাচ্ছে বন্যপ্রাণীরা। ফলে প্রাকৃতিক জীববৈচিত্র্য হারিয়ে বন পরিণত হয়েছে উপ-শহরে।
বন বিভাগের জমি বেদখল করে নির্মিত হয়েছে বাড়িঘর, দেয়া হয়েছে বিদ্যুত সংযোগ। জমির অতিরিক্ত টাকা দিলেই মিলছে বিদ্যুতের সংযোগ।
বনের ভিতরে কোনভাবেই বিদ্যুৎ সংযোগ স্থাপন করার নিয়ম নেই বলে জানালেন বনবিভাগের এই কর্মকর্তা। এদিকে দায়সারা কথার ফাঁকে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা জানালেন, বন বিভাগ চাইলেই বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হবে।
দখলদারদের উচ্ছেদ করে বন্যপ্রাণীর অভয়ারণ্য করার দাবি পরিবেশবাদী সংগঠনের নেতাদের।
জেলায় ১৯ হাজার ২’শ ৭৫ একর বনভুমির মধ্যে ২ হাজার ৩৭ একর বনভ‚মি বেদখল হয়ে আছে।