০৮:০৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪

গিনি উপসাগরে মিশনের পরিকল্পনা ইইউর: রিপোর্ট

এস. এ টিভি
  • আপডেট সময় : ১১:৫৭:১১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৮ অগাস্ট ২০২৩
  • / ১৫৪৫ বার পড়া হয়েছে
এস. এ টিভি সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ইউরোপীয় ইউনিয়ন চলতি শরত্কালে পশ্চিম আফ্রিকায় একটি নতুন মিশন শুরু করবে৷একটি জার্মান সংবাদপত্র এ কথা জানিয়েছে৷

সম্মিলিত সামরিক-বেসামরিক অভিযানের লক্ষ্য হবে জিহাদি গোষ্ঠীর মদতে তৈরি হওয়া অস্থিরতাকে ঠেকানো৷

রোববার কূটনীতিকদের বরাত দিয়ে জার্মান সংবাদপত্র ডি ভেল্ট আম জনটাগ জানায়, আফ্রিকার দেশ ঘানা, টোগো, বেনিন এবং আইভরি কোস্টে পুলিশ ও সেনা মোতায়েন করে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য দেশগুলো পশ্চিম আফ্রিকার গিনি উপসাগরে অভিযান শুরু করতে রাজি হয়েছে৷

সংবাদপত্রটির তথ্য অনুযায়ী, এই অভিযান বা মিশনের লক্ষ্য, স্থানীয় নিরাপত্তা বাহিনীকে প্রশিক্ষণ ও পরামর্শ দেওয়া, সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানের জন্য প্রস্তুতিতে সহায়তা করা, প্রযুক্তিগত সহায়তা দেওয়া, নিরাপত্তা খাতে জোর দেয়া, আত্মবিশ্বাস বজায় রাখার পদক্ষেপগুলো বাস্তবায়িত করা৷

লুক্সেমবুর্গে চলতি বছরের অক্টোবরে এক বৈঠকে ইইউ পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের আনুষ্ঠানিক অনুমোদনের পর মিশনটি চালু করার কথা৷

মিশন সম্পর্কে প্রতিবেদনে আর কী বলা হয়েছে?

পরিকল্পিত মিশনের পিছনের কারণ হলো, ইইউ-এর উদ্বেগ যে কট্টর ইসলামপন্থি দলগুলো ‘‘পশ্চিম আফ্রিকার সাহেল অঞ্চল থেকে গিনি উপসাগরের দক্ষিণ উপকূলীয় দেশগুলো দিকে তাদের সক্রিয়তা ও কার্যকলাপ বাড়াতে পারে, যা এই অঞ্চলে ব্যাপক অস্থিরতা তৈরি করতে পারে৷”

ইসলামিক স্টেট এবং আল-কায়েদার সঙ্গে যুক্ত চরমপন্থি গোষ্ঠীগুলোর জঙ্গি কার্যকলাপ সাম্প্রতিক বছরগুলিতে মালি, নাইজার এবং বুর্কিনা ফাসোর মতো দেশগুলোতে সক্রিয় হয়ে উঠেছে৷

সাহেলে সামরিক শাসনকে সমর্থনকারী ভাগনার সেনাদের মাধ্যমে এলাকায় রুশ প্রভাব ছড়িয়ে পড়েছে৷ ইইউ এই অঞ্চলে রাশিয়ার প্রভাব মোকাবেলা করতে চায়৷

ফরাসি এবং জার্মান বাহিনী মালির সেনাবাহিনী এবং পুলিশকে প্রশিক্ষণ দিচ্ছিলো৷ কিন্তু মালি তাদের বের করে দেওয়ার পরে ইইউ-এর জন্য পরিস্থিতি আরো জটিল হয়েছে৷

সংবাদপত্রের প্রতিবেদন বলছে, বেনিন এবং ঘানা ইতিমধ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে ইইউকে তাদের ভূখণ্ডে মিশন মোতায়েন করার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছে৷

অঞ্চলের বেশ কয়েকটি দেশ অভ্যুত্থানের পরে সামরিক সরকারের অধীনে রয়েছে৷ ২৬ জুলাই নাইজারেও জান্তা সরকার ক্ষমতা দখল করেছে৷ মালি এবং বুরকিনা ফাসোতেও সামরিক জান্তা ক্ষমতা দখল করেছে৷

জান্তা নিয়ন্ত্রণ নেয়ার পর নাইজারের পতন বিশেষভাবে উদ্বেগজনক কারণ এটি সমগ্র অঞ্চল জুড়ে পশ্চিমা শক্তিগুলির প্রধান সহযোগী ছিল৷

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

এস. এ টিভি সমন্ধে

SATV (South Asian Television) is a privately owned ‘infotainment’ television channel in Bangladesh. It is the first ever station in Bangladesh using both HD and 3G Technology. The channel is owned by SA Group, one of the largest transportation and real estate groups of the country. SATV is the first channel to bring ‘Idol’ franchise in Bangladesh through Bangladeshi Idol.

যোগাযোগ

বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬,
গুলশান-১, ঢাকা-১২১২,
বাংলাদেশ।
ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০
ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪
ই-মেইল: info@satv.tv
ওয়েবসাইট: www.satv.tv

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০১৩-২০২৩। বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ। ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০, ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

গিনি উপসাগরে মিশনের পরিকল্পনা ইইউর: রিপোর্ট

আপডেট সময় : ১১:৫৭:১১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৮ অগাস্ট ২০২৩

ইউরোপীয় ইউনিয়ন চলতি শরত্কালে পশ্চিম আফ্রিকায় একটি নতুন মিশন শুরু করবে৷একটি জার্মান সংবাদপত্র এ কথা জানিয়েছে৷

সম্মিলিত সামরিক-বেসামরিক অভিযানের লক্ষ্য হবে জিহাদি গোষ্ঠীর মদতে তৈরি হওয়া অস্থিরতাকে ঠেকানো৷

রোববার কূটনীতিকদের বরাত দিয়ে জার্মান সংবাদপত্র ডি ভেল্ট আম জনটাগ জানায়, আফ্রিকার দেশ ঘানা, টোগো, বেনিন এবং আইভরি কোস্টে পুলিশ ও সেনা মোতায়েন করে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য দেশগুলো পশ্চিম আফ্রিকার গিনি উপসাগরে অভিযান শুরু করতে রাজি হয়েছে৷

সংবাদপত্রটির তথ্য অনুযায়ী, এই অভিযান বা মিশনের লক্ষ্য, স্থানীয় নিরাপত্তা বাহিনীকে প্রশিক্ষণ ও পরামর্শ দেওয়া, সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানের জন্য প্রস্তুতিতে সহায়তা করা, প্রযুক্তিগত সহায়তা দেওয়া, নিরাপত্তা খাতে জোর দেয়া, আত্মবিশ্বাস বজায় রাখার পদক্ষেপগুলো বাস্তবায়িত করা৷

লুক্সেমবুর্গে চলতি বছরের অক্টোবরে এক বৈঠকে ইইউ পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের আনুষ্ঠানিক অনুমোদনের পর মিশনটি চালু করার কথা৷

মিশন সম্পর্কে প্রতিবেদনে আর কী বলা হয়েছে?

পরিকল্পিত মিশনের পিছনের কারণ হলো, ইইউ-এর উদ্বেগ যে কট্টর ইসলামপন্থি দলগুলো ‘‘পশ্চিম আফ্রিকার সাহেল অঞ্চল থেকে গিনি উপসাগরের দক্ষিণ উপকূলীয় দেশগুলো দিকে তাদের সক্রিয়তা ও কার্যকলাপ বাড়াতে পারে, যা এই অঞ্চলে ব্যাপক অস্থিরতা তৈরি করতে পারে৷”

ইসলামিক স্টেট এবং আল-কায়েদার সঙ্গে যুক্ত চরমপন্থি গোষ্ঠীগুলোর জঙ্গি কার্যকলাপ সাম্প্রতিক বছরগুলিতে মালি, নাইজার এবং বুর্কিনা ফাসোর মতো দেশগুলোতে সক্রিয় হয়ে উঠেছে৷

সাহেলে সামরিক শাসনকে সমর্থনকারী ভাগনার সেনাদের মাধ্যমে এলাকায় রুশ প্রভাব ছড়িয়ে পড়েছে৷ ইইউ এই অঞ্চলে রাশিয়ার প্রভাব মোকাবেলা করতে চায়৷

ফরাসি এবং জার্মান বাহিনী মালির সেনাবাহিনী এবং পুলিশকে প্রশিক্ষণ দিচ্ছিলো৷ কিন্তু মালি তাদের বের করে দেওয়ার পরে ইইউ-এর জন্য পরিস্থিতি আরো জটিল হয়েছে৷

সংবাদপত্রের প্রতিবেদন বলছে, বেনিন এবং ঘানা ইতিমধ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে ইইউকে তাদের ভূখণ্ডে মিশন মোতায়েন করার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছে৷

অঞ্চলের বেশ কয়েকটি দেশ অভ্যুত্থানের পরে সামরিক সরকারের অধীনে রয়েছে৷ ২৬ জুলাই নাইজারেও জান্তা সরকার ক্ষমতা দখল করেছে৷ মালি এবং বুরকিনা ফাসোতেও সামরিক জান্তা ক্ষমতা দখল করেছে৷

জান্তা নিয়ন্ত্রণ নেয়ার পর নাইজারের পতন বিশেষভাবে উদ্বেগজনক কারণ এটি সমগ্র অঞ্চল জুড়ে পশ্চিমা শক্তিগুলির প্রধান সহযোগী ছিল৷

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ