গুঁড়িয়ে দেওয়া হলো ‘সাদিক অ্যাগ্রো’র অংশ
- আপডেট সময় : ০৯:০৫:৩৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ জুন ২০২৪
- / ১৭১৪ বার পড়া হয়েছে
রাজধানীর মোহাম্মদপুরের আলোচিত সাদেক অ্যাগ্রো’র কিছু অংশ গুঁড়িয়ে দিয়েছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন। দিনভর অভিযান চালিয়ে প্রতিষ্ঠানটির দুটি স্থাপনা ছাড়াও পাশের একটি বস্তি গুঁড়িয়ে দেয়া হয়। উচ্ছেদকৃত স্থাপনাকে অবৈধ বলে দাবি করেছেন সিটি করপোরেশনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোতাকাব্বির আহমেদ। তবে জমির মালিকের দাবি, জেলা প্রশাসন ও ভূমি অফিস, পানি উন্নয়ন বোর্ড সীমানা নির্ধারণ করে দেয়ার পরও সিটি করপোরেশনের স্থাপনা ভাঙ্গা উদ্দেশ্য প্রনোদিত। তিনি জানান, নোটিশ ছাড়াই চালানো হয়েছে উচ্ছেদ অভিযান।
রাজধানীর মোহাম্মদপুরের রামচন্দ্রপুর খালের পাশে স্থাপিত দেশের সুবিশাল গরু-ছাগলের খামার সাদেক অ্যাগ্রোর স্থাপনা এভাবেই গুঁড়িয়ে দেয় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন। দিনভর অভিযান চালিয়ে আলোচিত প্রতিষ্ঠানটির দুটি স্থাপনার অংশ উচ্ছেদ করা হয়। অথচ খালের মুল অংশে স্থানীয় আওয়ামী লীগের কার্যালয়, বড় বড় স্থাপনা থাকলেও সেগুলোতে চালানো হয়নি কোনো উচ্ছেদ অভিযান। রামচন্দ্রপুর খালের মাঝখানে ২০ বছর ধরে গড়ে উঠা ট্রাকস্ট্যান্ড, বস্তি গড়ে উঠেছে। স্থানীয় কাউন্সিলরসহ প্রশাসন সেগুলো উদ্ধারে নির্বিকার বলে জানান এলাকাবাসী।
অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে নিতে সাদেক এগ্রোকে একাধিকবার নোটিশ দেওয়া হলেও তারা তা সরায়নি বলে দাবি করেছেন ডিএনসিসির নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোতাকাব্বির আহমেদ। তবে সাদিক অ্যাগ্রোর জায়গার একাংশের মালিক আব্দুল আলীম তালুকদারের দাবি, অভিযানেরআগে সিটি করপোরেশন কোনো নোটিশ দেয়নি। ভাড়া নিয়ে তাদের জমিতে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে সাদেক অ্যাগ্রো। তিনি জানান, কয়েক বছর আগেও ডিসি অফিস, ভূমি অফিস, পানি উন্নয়ন বোর্ড সীমানা নির্ধারণ করে দেয়ার পরও সিটি করপোরেশনের স্থাপনা ভাঙ্গা উদ্দেশ্য প্রণোদিত। কোরবানীর ঈদে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কর্মকর্তা মতিউর রহমানের ছেলের ১৫ লাখ টাকার ছাগল কেনার ঘটনার পর দেশজুড়ে আলোচনায় আসে সাদেক অ্যাগ্রো। তবে প্রতিষ্ঠানটি দীর্ঘ কয়েক বছর ধরেই উন্নত মানের গরু-ছাগল উৎপাদন করে বিক্রি করে আসছে।