গোপালগঞ্জের বিভিন্ন গ্রামে জনপ্রিয়তা পেয়েছে ভাসমান সবজি চাষ
- আপডেট সময় : ০৬:০৮:১০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৯ অক্টোবর ২০২০
- / ১৫২২ বার পড়া হয়েছে
গোপালগঞ্জের বিভিন্ন গ্রামে জনপ্রিয়তা পেয়েছে ভাসমান সবজি চাষ। এসব এলাকা নিম্ন জলাভূমি হওয়ায় এক ফসলি। এছাড়া, মাটি ও পানি লবণাক্ত হওয়ায় কচুরিপানা দিয়ে ভাসমান ক্ষেত তৈরি করে বিভিন্ন ধরনের শাক-সবজি চাষ করছে কৃষক। এতে এলাকার সবজির চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি নিজেরাও আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছে।
গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া ও কোটালীপাড়া উপজেলার বিস্তীর্ন এলাকা নিম্নাঞ্চল। এসব এলাকায় বছরের আট মাস কোনো কাজ থাকেনা। এই সময়ে পানিতে ভেসে আসা কচুরিপানা জরো করে তিন থেকে পাঁচ ফুট চওড়া এবং ৬০ ফুট দৈর্ঘ্যের একেকটি ধাপ তৈরি করে কৃষক। কচুরিপানা পঁচে গেলে, এই ধাপের উপর সবজি চাষ করে তারা। শসা, ঢেঁরস, পুঁইশাক, লালশাক, বরবটি, কুমড়া, হলুদসহ প্রায় ১৬ রকমের সবজি ও মসলার আবাদ করা হয়। কম খরচে বেশি লাভ হওয়ায় ভাসমান সবিজ চাষ দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।
একেকটি ধাপ তৈরী ও চাষ করতে সাত’শ টাকার মতো খরচ হয়। প্রকারভেদে লাভ হয় দেড় হাজার থেকে তিন হাজার টাকা। এছাড়া, শীতকালে এসব ধাপ জমিতে প্রাকৃতিক সার হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। সবজিতে সার ও কীটনাশক ব্যবহার না করায় ক্রেতাদের কাছে রয়েছে ব্যাপক চাহিদা। পাইকাররা বাড়ি বাড়ি গিয়ে এসব সবজি কেনে।
জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে কৃষি হুমকির মুখে পড়লেও, ভাসমান সবজি চাষ লাভজনক হবে বলে মনে করে, কৃষি বিভাগ। জেলার পাঁচ উপজেলায় প্রায় সাড়ে ১৩ হাজার ধাপ তৈরি করে সাড়ে তিন হাজার কৃষক। একেকজন প্রায় পাঁচ থেকে ২০টি ধাপ তৈরি করে থাকে।