গ্যাস ও বিদ্যুৎ সংকটে পোশাক কারখানায় উৎপাদন ব্যাহত
- আপডেট সময় : ০৬:৩৩:৪৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ অক্টোবর ২০২২
- / ১৬০২ বার পড়া হয়েছে
তীব্র গ্যাস ও বিদ্যুৎ সংকটে নাকাল গাজীপুরের কারখানা মালিকরা। অধিকাংশ সময় গ্যাস ও বিদ্যুৎ না থাকায় ডিজেলের ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে ব্যবসায়ীদের। এতে একদিকে খরচ বাড়ছে, আরেকদিকে ব্যাহত হচ্ছে উৎপাদন। এ ব্যাপারে তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষকে বারবার জানিয়েও কোনো ফল পাওয়া যায়নি। তিতাস বলছে, গ্যাস সাপ্লাইয়ে ঘাটতির ফলে সরবরাহ কম। ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধাবস্থা শেষ না হলে এই সমস্যার সমধান হবে না।
শিল্প পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, গাজীপুরে মোট কারখানার সংখ্যা ২ হাজার ১৬৫। এর মধ্যে পোশাক কারখানা ১ হাজার ১৮৭টি। এছাড়া বেশকিছু লাইসেন্সবিহীন কারখানাসহ সব মিলিয়ে গাজীপুরে পাঁচ হাজারের মতো ছোট-বড় কারখানা রয়েছে। যেগুলোর বেশিরভাগই গ্যাসের ওপর নির্ভরশীল।
ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, গ্যাস পাইপলাইনের চাপ ২ পিএসআইয়ের নিচে নেমে গেছে-যা থাকার কথা ১৫ পিএসআই। এমন গ্যাস স্বল্পতায় তৈরি পোশাক, টেক্সটাইল ও নিটিং কারখানাগুলোর সংকট চরম আকার ধারণ করে মারাত্মক ব্যাহত হচ্ছে উৎপাদন। নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎও পাচ্ছে না শিল্প- প্রতিষ্ঠানগুলো। ফলে প্রতিদিন ৬ থেকে ৮ লাখ টাকা লোকসান গুণতে হচ্ছে ব্যবসায়ীদের।
দিনের বেলা কারখানা চালু রাখতে ব্যয়বহুল ডিজেলের ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে। এতে উৎপাদন ব্যয় বাড়ছে ৭০ শতাংশ।
গ্যাস সংকটে উৎপাদন ব্যাহত হওয়ায় কাজও কমেছে পোশাককর্মীদের।
ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধাবস্থার কারণে সহসা এই সমস্যার সমাধান হবে না বলে জানান, তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষের এই কর্মকর্তা।
গ্যাস সংকটে উৎপাদন ব্যাহত হয়ে সময়মত রপ্তানি পণ্য সরবরাহে ব্যর্থ হলে বিদেশি ক্রেতাদের ক্রয়াদেশ বাতিল এবং বাংলাদেশ থেকে মুখ ফিরিয়ে অন্য দেশের দিকে ঝুঁকবে বায়ার’রা-এমনটাই মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।