গ্যাস-বিদ্যুৎ সংকটে তৈরি পোশাকসহ শিল্প উৎপাদন কমেছে প্রায় ২৫ ভাগ
- আপডেট সময় : ০২:১০:৩১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ নভেম্বর ২০২২
- / ১৬২৩ বার পড়া হয়েছে
গ্যাস ও বিদ্যুৎ সংকটে তৈরি পোশাকসহ শিল্পে উৎপাদন কমেছে প্রায় ২৫ শতাংশ। বিকল্প উপায়ে কারখানা চালু রাখতে গিয়ে, খরচও বেড়েছে সমপরিমাণ। এদিকে বিশ্বজুড়ে অর্থনৈতিক অস্থিরতায় মূল্য বৃদ্ধিতে বাজারে সব ধরনের পণ্যচাহিদা কমেছে অন্তত ৩০ শতাংশ।
ব্যবসায়ীদের দাবি, ভয়াবহ পরিস্থিতি মোকাবেলা করছে রপ্তানীমুখী ও স্থানীয় উৎপাদনে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো। আর অর্থনীতিবিদরা বলছেন, করোনার পর যুদ্ধের কারণে বিশ্ববাজারে ডিমান্ড-সাপ্লাই চেইন ভেঙ্গে পড়ার পাশাপাশি যোগ হয়েছে রাষ্ট্রীয় অব্যবস্থাপনও। তাই জাতীয় অর্থনীতিতে তৈরী হয়েছে চরম অস্থিরতা।
জ্বালানী তেলের অভাবে উৎপাদন সক্ষমতা কমায় গেলো দুই মাস ধরে শিল্প এলাকায় রেশনিং করে দেয়া হচ্ছে বিদ্যুৎ। ডলার সংকটে এলএনজি আমদানী করতে না পারায় গ্যাসের সরবরাহ কমেছে। নিত্য প্রয়োজনীয় এ দুটি উপকরণের ঘাটতি মোকাবিলা করতেই হিমসিম খাচ্ছে কলকারখানা।
ব্যবসায়ীদের দাবি, গ্যাস বিদ্যুতের সংকটে সক্ষমতা কমার সঙ্গে ব্যয় বেড়েছে প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের।
বিজিএমইএ বলছে, আগস্টের পর থেকেই ধারাবাহিকভাবে নেগেটিভ গ্রোথ তৈরী পোষাক শিল্পে। নতুন অর্ডারের সম্ভাবনা দেখছেন না তারা। জানুয়ারির প্রথম সপ্তাই শুরু হবে চীনে বার্ষিক ছুটি। সব মিলিয়ে মার্চ-এপ্রিলের আগে এ খাতে আশার আলো দেখছেন না তারা।
আর অর্থনীতিবিদরা বলছেন, বিশ্ব অর্থনীতির এই অস্থির সময়ে দেশের বাজারকে আরো অরাজক করে তুলেছে সরকারের বৈদেশিক মুদ্রা নীতির অব্যবস্থাপনা। রেমিটেন্স যোদ্ধাদের পাঠানো অর্থ, রপ্তানীকারকদের আয় করা ডলার আর খোলা বাজারের দামে সমন্বয় না থাকার নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে রিজার্ভে।
এই অবস্থার উত্তরনে রপ্তানীমুখি শিল্প প্রতিষ্ঠানকে উদ্বুদ্ধ করতে নীতিগত সহায়তা বাড়ানোর পাশাপাশি রেমিটেন্স যোদ্ধাদের আস্থা অর্জনে উদ্যোগী হতে হবে সরকারকে।