০১:২৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪

ঘূণিঝড়ের ক্ষয়ক্ষতির ছবি দেখিয়ে ২১ বিদ্যালয়ের অর্থ আত্মসাৎ

এস. এ টিভি
  • আপডেট সময় : ১১:৩০:৩৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ অগাস্ট ২০২৪
  • / ১৭০১ বার পড়া হয়েছে
এস. এ টিভি সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

সাতক্ষীরায় ঘূর্ণিঝড় রেমালের আঘাতে ক্ষয়ক্ষতির চিত্র দেখিয়ে তালায় ২১টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সরকারি বরাদ্দ নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। ক্ষয়ক্ষতির বিবরণীতে বলা হয়েছে-ঘূর্ণিঝড়ে বিদ্যালয়ের টিন সেড উড়ে গেছে, কোথাও জানালা, টয়লেটের ক্ষতি হয়েছে। ব্যক্তি স্বার্থে শিক্ষকরা এমন মনগড়া তথ্য দিয়ে সরকারি অর্থ বরাদ্দ পাওয়ায় হতবাক অভিভাবকসহ স্থানীয়রা। বিষয়টি তদন্তের আশ্বাস দিয়েছেন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার। আর নয়-ছয় হলে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের কথা জানান জেলা প্রশাসকের

চলতি বছরের ২৬ মে রাতে সাতক্ষীরার উপকূলে আঘাত হানে ঘূর্ণিঝড় রেমাল। শিক্ষা বিভাগের বরাদ্ধের তালিকায় দেখা গেছে-জেলায় ৬৭টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ঘূর্ণিঝড় রেমালে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় ঝুকিমুক্ত তালা উপজেলায় ২১ বিদ্যালয়ে আর বেশি ঝুকিতে থাকা শ্যামনগর ১২টি ও আশাশুনি উপজেলায় বরাদ্ধ পেয়েছে ৮টি বিদ্যালয়ে। কালিগঞ্জ উপজেলায় ১২টি, সদর উপজেলায় ৭টি ও কলারোয়া উপজেলায় ৭টি বিদ্যালয়ে বরাদ্ধ পেয়েছে।

তালার শিক্ষক নেতারা ব্যক্তি স্বার্থে ক্ষয়ক্ষতি কাগজে কলমে দেখিয়ে ২১টি বিদ্যালয় মেরামত বাবদ ১ লাখ থেকে ১ লাখ ২৫ হাজার টাকা পযর্ন্ত সরকারি বরাদ্ধ হাতিয়ে নিয়েছে বলে অভিযোগ অভিভাবক ও স্থানীয়দের।

নিজের বিদ্যালয়ের অনিয়মের কথা অস্বীকার করে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে লাখে ১০ হাজার টাকা দিয়ে কাজ করবেন না বলে জানান প্রধান শিক্ষক।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে কৌশলে উপজেলা হিসাব রক্ষক অফিস ও এলজিইডির প্রকৌশলীর ঘাড়ে দায় চাপিয়ে এড়িয়ে যান শিক্ষা কর্মকর্তা।

উপজেলা শিক্ষা অফিস থেকে যে ভাবে তালিকা দেয়া হয়েছে সে ভাবেই বরাদ্ধ এসেছে জানান জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার
ফোনো
অনিয়ম ও আর্থিক দূর্নীতি হলে তদন্ত করে জড়িতদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে জানান জেলা প্রশাসক।

মিথ্যা তথ্য দিয়ে রাষ্ট্রীয় অর্থ বরাদ্ধ নিয়ে লোপাট করছেন জড়িত এমন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করবেন এমনটাই প্রত্যাশা স্থানীয়দের।

এস. এ টিভি সমন্ধে

SATV (South Asian Television) is a privately owned ‘infotainment’ television channel in Bangladesh. It is the first ever station in Bangladesh using both HD and 3G Technology. The channel is owned by SA Group, one of the largest transportation and real estate groups of the country. SATV is the first channel to bring ‘Idol’ franchise in Bangladesh through Bangladeshi Idol.

যোগাযোগ

বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬,
গুলশান-১, ঢাকা-১২১২,
বাংলাদেশ।
ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০
ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪
ই-মেইল: info@satv.tv
ওয়েবসাইট: www.satv.tv

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০১৩-২০২৩। বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ। ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০, ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

ঘূণিঝড়ের ক্ষয়ক্ষতির ছবি দেখিয়ে ২১ বিদ্যালয়ের অর্থ আত্মসাৎ

আপডেট সময় : ১১:৩০:৩৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ অগাস্ট ২০২৪

সাতক্ষীরায় ঘূর্ণিঝড় রেমালের আঘাতে ক্ষয়ক্ষতির চিত্র দেখিয়ে তালায় ২১টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সরকারি বরাদ্দ নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। ক্ষয়ক্ষতির বিবরণীতে বলা হয়েছে-ঘূর্ণিঝড়ে বিদ্যালয়ের টিন সেড উড়ে গেছে, কোথাও জানালা, টয়লেটের ক্ষতি হয়েছে। ব্যক্তি স্বার্থে শিক্ষকরা এমন মনগড়া তথ্য দিয়ে সরকারি অর্থ বরাদ্দ পাওয়ায় হতবাক অভিভাবকসহ স্থানীয়রা। বিষয়টি তদন্তের আশ্বাস দিয়েছেন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার। আর নয়-ছয় হলে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের কথা জানান জেলা প্রশাসকের

চলতি বছরের ২৬ মে রাতে সাতক্ষীরার উপকূলে আঘাত হানে ঘূর্ণিঝড় রেমাল। শিক্ষা বিভাগের বরাদ্ধের তালিকায় দেখা গেছে-জেলায় ৬৭টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ঘূর্ণিঝড় রেমালে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় ঝুকিমুক্ত তালা উপজেলায় ২১ বিদ্যালয়ে আর বেশি ঝুকিতে থাকা শ্যামনগর ১২টি ও আশাশুনি উপজেলায় বরাদ্ধ পেয়েছে ৮টি বিদ্যালয়ে। কালিগঞ্জ উপজেলায় ১২টি, সদর উপজেলায় ৭টি ও কলারোয়া উপজেলায় ৭টি বিদ্যালয়ে বরাদ্ধ পেয়েছে।

তালার শিক্ষক নেতারা ব্যক্তি স্বার্থে ক্ষয়ক্ষতি কাগজে কলমে দেখিয়ে ২১টি বিদ্যালয় মেরামত বাবদ ১ লাখ থেকে ১ লাখ ২৫ হাজার টাকা পযর্ন্ত সরকারি বরাদ্ধ হাতিয়ে নিয়েছে বলে অভিযোগ অভিভাবক ও স্থানীয়দের।

নিজের বিদ্যালয়ের অনিয়মের কথা অস্বীকার করে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে লাখে ১০ হাজার টাকা দিয়ে কাজ করবেন না বলে জানান প্রধান শিক্ষক।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে কৌশলে উপজেলা হিসাব রক্ষক অফিস ও এলজিইডির প্রকৌশলীর ঘাড়ে দায় চাপিয়ে এড়িয়ে যান শিক্ষা কর্মকর্তা।

উপজেলা শিক্ষা অফিস থেকে যে ভাবে তালিকা দেয়া হয়েছে সে ভাবেই বরাদ্ধ এসেছে জানান জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার
ফোনো
অনিয়ম ও আর্থিক দূর্নীতি হলে তদন্ত করে জড়িতদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে জানান জেলা প্রশাসক।

মিথ্যা তথ্য দিয়ে রাষ্ট্রীয় অর্থ বরাদ্ধ নিয়ে লোপাট করছেন জড়িত এমন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করবেন এমনটাই প্রত্যাশা স্থানীয়দের।