ঘূর্ণিঝড় আমপানের আঘাতে সুন্দরবনের ১২ হাজারের বেশি গাছ ক্ষতিগ্রস্ত
- আপডেট সময় : ০২:০৬:৪৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ৭ জুন ২০২০
- / ১৫৩০ বার পড়া হয়েছে
ঘূর্ণিঝড় আমপানের আঘাতে সুন্দরবনের ১২ হাজারের বেশি গাছ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আর লবণ পানি ঢুকেছে ৪০টি মিষ্টি পানির আধারে। বনের গাছপালা এবং অবকাঠামো মিলে ২ কোটি ২৬ লাখ টাকা ক্ষতি হয়েছে। জুন থেকেই ক্ষতিগ্রস্থ অবকাঠামো মেরামত ও মিষ্টি পানির আধার পুকুর খননের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে বলে জানান প্রধান বন সংরক্ষক।
সিডর ও আইলা থেকে শুরু করে সর্বশেষ ঘূর্ণিঝড় আমপানের আঘাতও বুকে ধারন করে উপকূলের মানুষকে রক্ষা করলো সুন্দরবন। এজন্য অবশ্য মূল্যও দিতে হয়েছে বিশ্বের একক বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বনকে। সরেজমিন পরিদর্শন শেষে বনবিভাগের তৈরি করা প্রতিবেদনে বলা হয়, আমপানের আঘাতে ভেঙ্গে বা উপড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সুন্দরবনের বিভিন্ন প্রজাতির ১২ হাজার ৩৫৮টি গাছ; যার আর্থিক মূল্য প্রায় ১৭ লাখ টাকা।
অপরদিকে বন বিভাগের টহল ফাঁড়ি, জেটি, পরিবহনের ক্ষতি হয়েছে ২ কোটি ৯ লাখ টাকার। বনের মধ্যে বিভিন্ন সময়ে মিষ্টি পানির জন্য খনন করা ৮০টি পুকুরের মধ্যে ৪০টিতে প্রবেশ করেছে লবন পানি। ফলে এই পানি মানুষ ও প্রাণীর জন্য হয়ে পড়েছে ব্যবহার অনুপযোগী।
দ্রুততম সময়ে লবণ পানি ঢুকে পড়া পুকুর সংস্কার ও আগামি অর্থবছরে ইকো টুরিজম স্পটগুলো সংস্কারের সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানান প্রধান বন সংরক্ষক।
ঝড়ে বন্য প্রাণির কোন ক্ষতি হয়নি বলে জানিয়েছে বন বিভাগের গঠিত ৪টি তদন্ত কমিটি। বন্য প্রাণি সংরক্ষণ বিভাগ বলছে,কৃত্তিম পুকুরেরর পানির লবণাক্ত হলেও প্রাণিকূলের ক্ষতির শঙ্কা নেই। কারণ প্রানীরা নিজস্ব পদ্ধতি অনুসরণ করে সুপেয় পানি খুজে নেয়।
সুন্দরবনের ক্ষয়ক্ষতি পূরণে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় বনজীবীদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে বনবিভাগ। তবে জীবিকার তাগিদে বনের ভাল অংশে তারা যেতে পারবেন।