০৪:১৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

চট্টগ্রামের কর্ণফূলী নদীতে ক্যাপিটাল ড্রেজিং প্রকল্প ফের থমকে দাড়িয়েছে

এস. এ টিভি
  • আপডেট সময় : ১০:০৯:১১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২১ অক্টোবর ২০১৯
  • / ১৫৭৮ বার পড়া হয়েছে
এস. এ টিভি সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

চট্টগ্রামের কর্ণফূলী নদীতে ক্যাপিটাল ড্রেজিং প্রকল্প ফের থমকে দাড়িয়েছে। নদীর তলদেশে অন্তত ৬ মিটার পর্যন্ত পলিথিন ও প্লাস্টিকের আবর্জনা থাকায় ড্রেজার মেশিন কাজ করছে না। তাই চলমান প্রকল্প স্থগিত রেখে আধুনিক পদ্ধতি অবলম্বনের পরিকল্পনা করছে চট্টগ্রাম বন্দর। আর নদী বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রকল্পের খরচ বাড়াতেই পরিকল্পিতভাবে নদী বাচানোর এই উদ্যোগ পিছিয়ে দেয়া হচ্ছে।

সবশেষ ১৯৯০ সালে কর্ণফূলী নদীতে ক্যাপিটাল ড্রেজিং বাস্তবায়িত হয়েছিল। কথা ছিল- ১০ বছর পর পর এই প্রকল্প চালিয়ে যাবে বন্দর কর্তৃপক্ষ। কিন্তু ৩০ বছর হতে চললেও ক্যাপিটাল ড্রেজিং আর আলোর মুখ দেখেনি। যদিও বেশ কয়েকবার উদ্যোগী হয়েছিলো বন্দর কর্তৃপক্ষ।সবশেষ ২০১১ সালে মালোয়েশিয়ার মেরিটাইম এন্ড ড্রেজিং কর্পোরেশন নামের একটি কোম্পানি এই ক্যাপিটাল ড্রেজিংয়ের দায়িত্ব পায়। কাজ শুরুর ক’দিন পরই মেশিন ফেলে পালিয়ে যায় কোম্পানিটি। এরপর নানান আইনি জটিলতা কাটিয়ে চলতি বছরের শুরুতে নতুন করে প্রকল্প নেয় চট্টগ্রাম বন্দর। কিন্তু এবার বাধ সেধেছে নদীর তলদেশে জমে থাকা প্লাস্টিকের আবর্জনা।

নদী বিষেশজ্ঞরা বলছেন, প্রকল্পটি শুরুর আগে দীর্ঘসময় ধরে সম্ভাব্যতা যাচাই করেছে একাধিক প্রতিষ্ঠান। তাই বাস্তবায়নে এসে পলিথিনের দোহাই দেয়াটা সংশ্লিষ্টদের দায়িত্ব-জ্ঞানহীনতা বলে মনে করেন এই বিশেষজ্ঞ। আর কর্ণফূলী রক্ষায় দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে আসা পরিবেশ কর্মীরা বলছেন, দেশের অন্যান্য প্রকল্পগুলোর মতো এই প্রকল্পটিকেও দীর্ঘসুত্রিতার কবলে ফেলে অনৈতিক সুবিধা নিতে চায় সংশ্লিষ্টরা। তাই বিষয়টি নিয়ে সরকারের শীর্ষমহলের হস্তক্ষেপও কামনা করেন তারা।বারিক বিল্ডিং মোড় থেকে কালুরঘাট সেতু পর্যন্ত ১৬৮ কোটি টাকা ব্যয়ে এই প্রকল্পটি গত মে মাসে শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু নদীর তীরের কিছু চর অপসারণ হলেও মূল ড্রেজিংয়ের কাজ শুরুই হয়নি এখনো।

এস. এ টিভি সমন্ধে

SATV (South Asian Television) is a privately owned ‘infotainment’ television channel in Bangladesh. It is the first ever station in Bangladesh using both HD and 3G Technology. The channel is owned by SA Group, one of the largest transportation and real estate groups of the country. SATV is the first channel to bring ‘Idol’ franchise in Bangladesh through Bangladeshi Idol.

যোগাযোগ

বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬,
গুলশান-১, ঢাকা-১২১২,
বাংলাদেশ।
ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০
ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪
ই-মেইল: info@satv.tv
ওয়েবসাইট: www.satv.tv

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০১৩-২০২৩। বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ। ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০, ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

চট্টগ্রামের কর্ণফূলী নদীতে ক্যাপিটাল ড্রেজিং প্রকল্প ফের থমকে দাড়িয়েছে

আপডেট সময় : ১০:০৯:১১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২১ অক্টোবর ২০১৯

চট্টগ্রামের কর্ণফূলী নদীতে ক্যাপিটাল ড্রেজিং প্রকল্প ফের থমকে দাড়িয়েছে। নদীর তলদেশে অন্তত ৬ মিটার পর্যন্ত পলিথিন ও প্লাস্টিকের আবর্জনা থাকায় ড্রেজার মেশিন কাজ করছে না। তাই চলমান প্রকল্প স্থগিত রেখে আধুনিক পদ্ধতি অবলম্বনের পরিকল্পনা করছে চট্টগ্রাম বন্দর। আর নদী বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রকল্পের খরচ বাড়াতেই পরিকল্পিতভাবে নদী বাচানোর এই উদ্যোগ পিছিয়ে দেয়া হচ্ছে।

সবশেষ ১৯৯০ সালে কর্ণফূলী নদীতে ক্যাপিটাল ড্রেজিং বাস্তবায়িত হয়েছিল। কথা ছিল- ১০ বছর পর পর এই প্রকল্প চালিয়ে যাবে বন্দর কর্তৃপক্ষ। কিন্তু ৩০ বছর হতে চললেও ক্যাপিটাল ড্রেজিং আর আলোর মুখ দেখেনি। যদিও বেশ কয়েকবার উদ্যোগী হয়েছিলো বন্দর কর্তৃপক্ষ।সবশেষ ২০১১ সালে মালোয়েশিয়ার মেরিটাইম এন্ড ড্রেজিং কর্পোরেশন নামের একটি কোম্পানি এই ক্যাপিটাল ড্রেজিংয়ের দায়িত্ব পায়। কাজ শুরুর ক’দিন পরই মেশিন ফেলে পালিয়ে যায় কোম্পানিটি। এরপর নানান আইনি জটিলতা কাটিয়ে চলতি বছরের শুরুতে নতুন করে প্রকল্প নেয় চট্টগ্রাম বন্দর। কিন্তু এবার বাধ সেধেছে নদীর তলদেশে জমে থাকা প্লাস্টিকের আবর্জনা।

নদী বিষেশজ্ঞরা বলছেন, প্রকল্পটি শুরুর আগে দীর্ঘসময় ধরে সম্ভাব্যতা যাচাই করেছে একাধিক প্রতিষ্ঠান। তাই বাস্তবায়নে এসে পলিথিনের দোহাই দেয়াটা সংশ্লিষ্টদের দায়িত্ব-জ্ঞানহীনতা বলে মনে করেন এই বিশেষজ্ঞ। আর কর্ণফূলী রক্ষায় দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে আসা পরিবেশ কর্মীরা বলছেন, দেশের অন্যান্য প্রকল্পগুলোর মতো এই প্রকল্পটিকেও দীর্ঘসুত্রিতার কবলে ফেলে অনৈতিক সুবিধা নিতে চায় সংশ্লিষ্টরা। তাই বিষয়টি নিয়ে সরকারের শীর্ষমহলের হস্তক্ষেপও কামনা করেন তারা।বারিক বিল্ডিং মোড় থেকে কালুরঘাট সেতু পর্যন্ত ১৬৮ কোটি টাকা ব্যয়ে এই প্রকল্পটি গত মে মাসে শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু নদীর তীরের কিছু চর অপসারণ হলেও মূল ড্রেজিংয়ের কাজ শুরুই হয়নি এখনো।